দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করলেন সেই গৃহবধূ

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২০, ১৩:০১

সাহস ডেস্ক

বিবস্ত্র করে নির্যাতনের স্বীকার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরের সেই নারী (৩৭) স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন (২৬) এবং তার সহযোগী আবুল কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় ওই নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের আগে দেলোয়ার তাকে দু’বার ধর্ষণ করেছিল। এর মধ্যে একবার ধর্ষণ করা হয় প্রায় এক বছর আগে। আর দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করা হয় রমজান মাসের কিছুদিন আগে। দ্বিতীয়বার ধর্ষণের ঘটনার দিন দেলোয়ারের সহযোগী কালামও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, দেলোয়ারকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এছাড়া আরেক আসামি আবুল কালামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত দলের কাছে নির্যাতনের শিকার ওই নারী এসব তথ্য জানান।

এর আগে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) নির্যাতনের শিকার ওই নারী জাতীয় মানবাধকার কমিশনের তদন্তদলের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলেন, দেলোয়ার ভুক্তভোগী ওই নারীকে রাতের বেলায় নৌকায় নিয়েও ধর্ষণ করেন। দেলোয়ার এলাকায় প্রভাবশালী সন্ত্রাসী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস পাননি তিনি।

তদন্ত দলের প্রধান মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর বলেন, নারীর অভিযোগ অনুযায়ী দেলোয়ার প্রায় সময় তাকে অশোভন প্রস্তাব দিতেন। প্রস্তাবে সাড়া দিতে হুমকি-ধমকিও দেওয়া হতো। প্রায় বছর খানেক আগে দেলোয়ার তার ঘরে ঢুকে তাঁকে প্রথমবার ধর্ষণ করেন। এরপর গেল রমজানের কিছুদিন আগে দেলোয়ার তার সহযোগী কালামের মাধ্যমে ওই নারীকে একটি নৌকায় ডেকে পাঠান। সেখানে দেলোয়ার ও কালাম দুজনই তাকে ধর্ষণ করতে চায়। এ সময় তিনি দেলোয়ারের কাছে অনুনয়-বিনয় করলে কালামকে টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেন দেলোয়ার। এরপর নৌকায় দ্বিতীয়বার তাঁকে ধর্ষণ করেন।

আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর বলেন, নারীর এই অভিযোগ শোনার পর তিনি বিষয়টি নিয়ে কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছেন। চেয়ারম্যানের পরামর্শ মতে তারা ওই নারীকে দিয়ে দেলোয়ার ও কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক একটি মামলা করাবেন। এ ক্ষেত্রে কমিশনের প্যানেল আইনজীবীরা আদালতে মামলাটি পরিচালনা করবেন।

তদন্ত দলের প্রধান মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে ওই নারী দেলোয়ারের নামে মামলা করেননি। এমনকি আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দিতে নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়ের কারণে দেলোয়ারের নাম বলেননি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত