এমসি কলেজে ধর্ষণ: আদালতে আরও তিন আসামির স্বীকারোক্তি

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২০, ০২:৫১

সাহস ডেস্ক

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মামলার আরও তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আর দুজনের ডিএনএ’র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এ নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ৮ আসামির মধ্যে ৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিল আদালতে। জবানবন্দিতে আসামিদের কেউ ধর্ষণের ও কেউ ধর্ষণে সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছে।

পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার বেলা ২টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি মিসবাউর রহমান রাজন, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও আইনুদ্দিনকে।

পরে ওই তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর মধ্যে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. জিহাদুর রহমান জবানবন্দি রেকর্ড করেন মিসবাউর রহমান রাজনের।

শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও আইনুদ্দিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন যথাক্রমে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নীলা ও ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান।

আদালতে তিন আসামির স্বীকারোক্তি দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।

এর আগে গত শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মামলার আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম। তিন আসামি আদালতে প্রায় অভিন্ন জবানবন্দি দেয়।

আদালতকে তারা জানায়, গাড়ির ভেতরে চারজন (সাইফুর, অর্জুন, তারেক ও রনি) মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। রবিউল ধর্ষণ করেনি, তবে সহযোগিতা করেছে। ধর্ষণের পর আলামত নষ্টের জন্য তারা গাড়িটি (প্রাইভেট কার) আটকে রেখেছিল। কিন্তু পুলিশ চলে আসায় তারা গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়।

এদিকে, আজ শনিবার সকালে মামলার আরও দুই আসামির ডিএনএ’র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের ডিনএনএ’র নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় তালুকদার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত