বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থদের ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিটের প্রস্তুতি

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:২৬

সাহস ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়েরের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) এ রিট আবেদন দায়ের করবেন নারায়ণগঞ্জ অধিবাসী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৈয়মুর আলম খন্দকার। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনাও চাওয়া হবে।

দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে নিহত ও আহত প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আরজি জানানোর পর আদালত লিখিত আবেদন করার জন্য বলেন। এরপর তিনি এই রিট আবেদন প্রস্তুত করেন।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আজ হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে উপস্থাপন করেছি এবং প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা জারির আর্জি জানিয়েছিলাম। আদালত বলেছেন এ সমস্ত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে আবেদন আকারে দাখিল করতে। তাই দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হবে রিটে।

এদিকে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মোহাম্মদ আলী মাস্টার (৫৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জন। রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ২৪ জনের মৃত্যু হলো।   এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ ১৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই মসজিদের ইমাম আব্দুল মালেকসহ (৬০) আরও একজনের মৃত্যু হয়। এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাহারউদ্দিন (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়।

মৃত অন্যরা হলেন- রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপরী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুয়েল (৭), জয়নাল আবেদিন (৪০), মাইনুদ্দিন (১২), রাসেল (৩৪), মো. নয়ন (২৭) ও কাঞ্চন হাওলাদার (৫৩)।

এ ঘটনায় শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম মৃত্যু হয় জুয়েল নামের এক শিশুর। এরপর রাতে, সকালে ও বিকেলে অন্যদের মৃত্যু হয়। মৃতের তালিকায় রয়েছেন মসজিদের মুয়াজ্জিনও।

প্রসঙ্গত, এর আগে শুক্রবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।  এরপর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইতোমধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি মুসল্লিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত