নেগেটিভ রোগীকে পজিটিভ বলে ভর্তি করে সাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২০, ২২:৫৬

সাহস ডেস্ক

নেগেটিভ রোগীকে করোনা পজিটিভ বলে হাসপাতালে ভর্তি রেখে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর সাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়াই র‌্যাপিড কিট দিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে আসছিল এ হাসপাতাল।

রবিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে করোনার চিকিৎসায় ডেডিকেটেড হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাবের একটি দল।

অভিযানে অসহযোগিতা করায় বিকেল ৫টার দিকে ডা. আবুল হাসনাতকে হেফাজতে নেয় র‌্যাব। হাসপাতালের ইনভেন্টরি অফিসার শাহজির কবির সাদিকেও হেফাজতে নেয় র‌্যাব।

র‌্যাব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, হাসপাতালটিতে আমরা তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় মেশিন না থাকায় অনুমোদন বাতিল করা হয়। এর পরও তারা কোভিড-১৯ পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। তারা বাইরের রোগীদেরও টেস্ট করেছে। এ টেস্টগুলো অননুমোদিত ডিভাইসের মাধ্যমে করেছে। যে রিপোর্ট দিয়েছে তা সবই ভুয়া।

হাসপাতাল থেকে অসংখ্য অননুমোদিত কিট উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এসব কিট কিভাবে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে এসেছে তার কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।

র‍্যাব জানায়, সাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটি রোগীদের টেস্ট না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছে র‌্যাব। হাসপাতাল থেকে ভুয়া ও জাল রিপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে। এসব রিপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি সরকারি কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল ও কম্পিউটারে স্ক্যান করে বসিয়ে নিতো বলেও জানিয়েছে র‌্যাব।

সারোয়ার আলম বলেন, হাসপাতালের পাঁচটি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। আমরা একটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল টিউব পেয়েছি। এগুলোর একটির ২০০৯ সালে, দুটি ২০১১ সালে এবং একটি ২০২০ সালের এপ্রিলে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এসব টিউব সাধারণত অপারেশনে অ্যানেস্থিশিয়া দেওয়ার সময় রোগীর শ্বাসনালীতে ঢোকানো হয়।

অনুমোদনহীন ওষুধ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নিষিদ্ধ ড্রাগ পেয়েছি এখানে। এসব ড্রাগ বিক্রির কোনও অনুমোদন নেই। সেগুলো এখানে বিক্রি করছে। এসব ড্রাগ কীভাবে আসছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত