সিরাজগঞ্জে গ্রাহক পেটানোর ঘটনায় নেসকোর তদন্ত শুরুঃ অভিযুক্তরা এখনও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২০, ১১:২৭

সিরাজগঞ্জে নেসকো কার্যালয়ে গ্রাহক হয়রানীর প্রতিবাদে শহর আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন আহম্মেদ ভোলাকে মারপীটের ঘটনাটির অবশেষে তদন্ত শুরু হয়েছে। নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলামের নির্দেশে ব্যবস্থাপক (লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স) শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনার তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে।
 
তদন্ত দল সোমবার (১৫জুন) সরেজমিনে সিরাজগঞ্জ নেসকো কার্যালয়ে এসে অনাকঙ্খিত ওই ঘটনাটির তদন্ত করেন। আবাসিক ও নির্বাহী প্রকৌশলী (১) গোবিন্দ চন্দ্র সাহা তদন্ত কার্যক্রমের সতত্যা স্বীকার করেছেন। এদিকে, তদন্ত শুরু হলেও নেসকোর স্থানীয় কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা/কর্মচারী মুল ঘটনাটি আড়ালের চেষ্টা চলছে।
 
অপরদিকে, মারপীটের ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও মুল অপরাধীরা এখনও পুলিশের ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে।
 
এদিকে, তদন্ত দল সিরাজগঞ্জ আসলেও ঘটনার মুল হোতা নেসকোর সাহায্যকারী (প্রেষনে সিষ্টেম সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্বরত) শফিকুজ্জামান নোমান ও তার ভাই মেজবাহ উদ্দিন তদন্ত দলের সাথে সাক্ষাত করেনি। নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে নোমানকে এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। মারপীটের ঘটনায় জ্ঞাত-অজ্ঞাত মিলে ৭জন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
 
এদিকে, নথি থেকে জানা যায় অভিযুক্ত নেসকোর সাহায্যকারী নোমান ও তার একান্ত সহযোগী আব্দুল মালেক এবং লাইনম্যান-বি আমানুল্লাহ আল কামালসহ অভিযুক্তরা সকলে গা-ঢাকা দিয়েছেন। 
 
গ্রাহক হয়রানীর প্রতিবাদ করায় গত ৮ জুন তারা আওয়ামীলীগ নেতা ভোলাকে নেসকোর গেটের সামনে মারপীট করেন। এ ঘটনায় শাহীন আহম্মেদের বড় ভাই  জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ফারুক বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
 
সদর থানার ওসি হাফিজুর রহমান সোমবার দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, আসামীদের ধরতে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।
 
অন্যদিকে, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম বিকেলে বলেন, স্ট্যান্ড রিলিজসহ নোমানের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক বদলী হয়েছে। তদন্ত শেষে বাকী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও অনুরূপ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত