‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ মজনু সাত দিনের রিমান্ডে
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৩০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
আজ ৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালত শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।
এর আগে আজ দুপুরে আসামি মজনুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি। তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক।
রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু। তবে আদালতে আসামি মজনুর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ‘গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে হেঁটে গলফ ক্লাব সংলগ্ন স্থানে পৌঁছায়। এ সময় আসামি মজনু তাঁকে পেছন থেকে গলা ধরে মাটিতে ফেলে দেন। তাঁর গলা চিপে ধরেন। ছাত্রী চিৎকার করতে গেলে মজনু তাঁকে কিলঘুষি মারেন। ভয়ভীতি দেখান। ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে ধর্ষণ করেন আসামি মজনু।’
রিমান্ড আবেদনে আরো বলা হয়, ‘মজনুকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তাঁর কাছ থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর খোয়া যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। আসামি মজনু একজন অভ্যাসগত ধর্ষক। প্রতিবন্ধী ও ভ্রাম্যমাণ নারীদের ধর্ষণ করে আসছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, তা জানতে এই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।’
আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে মজনুকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু।
ধর্ষণের এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে আছে ঢাকা মহানগর ডিবি।
এর আগে ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দিনগত রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।