ত্রাণের আশায় সুনামগঞ্জের লাখো পানিবন্দি মানুষ

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০১৯, ১৮:৫৫

দেশের মধ্যে অতি ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নামা ঢল অব্যাহত থাকায় দেশের নদ-নদীগুলোর পানি ক্রমেই বাড়ছে। উত্তরাঞ্চলের সবকটি নদনদীর পানি বাড়ছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এমন অবস্থায় ঘর থেকে বের হওয়ার কোন উপায় নেই এসব এলাকার বাসিন্দাদের। পানিবন্দি অবস্থায় এসব মানুষের দিন-রাত কাটছে। পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত ত্রাণও সাথে রয়েছে পর্যাপ্ত খাবার পানির সংকট।

সুনামগঞ্জের সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের এসব দুর্ভোগ লক্ষ করা যায়।

এদিকে সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ওইসব উপজেলার বেশিরভাগ সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে।

বিশ্বম্ভরপুরের রাজঘাট গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ঘরে বন্যার পানি প্রবেশ রায় পাঁচ দিন ধরে তারা গৃহবন্দী। এরপর থেকে তারা চুলায় আগুন জ্বালাতে পারছেন না। দোকান থেকে কিছু শুকনো খাবার কিনে এনে  রাখা ছিল তাই দিয়ে দিন পার করছেন।

মাঝাইর গ্রামের আব্দুল কাদির বলেন, আমাদের এখন শুকনো খাবার প্রয়োজন। ঘরে চাল থাকলেও রান্না করার কোনও ব্যবস্থা নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, সুরমা নদীর পানি ৮ দশমিক ৪ থেকে ৮ দশমিক ৬-এর মধ্যে ওঠানামা করছে। আগামী কয়েক দিন আরও বৃষ্টি হবে ও পাহাড়ি ঢল নামবে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি আরও বৃদ্ধি পাবে।

এ জেলায় এখন পর্যন্ত ৩০০ টন চাল, তিন হাজার ৭৬৫ প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ আড়াই লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক।

তিনি বলেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় নগদ ১০ লাখ টাকা, ৩০০ টন চাল ও চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দিয়েছে। প্রতি প্যাকেট শুকনো খাবারে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনিসহ সাড়ে ১৬ কেজি সামগ্রী থাকে। তবে এবার খাবারের প্যাকেটে মোমবাতি ও দেশলাই নেই।

এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫০০ ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। আর লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত