ব্যানার ফেস্টুন ঝুলিয়ে নেতা হওয়া যায় না : নাসিম

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০১৯, ১২:৩১

ভাইয়ের নামে স্লোগান আর ব্যানার ফেস্টুন ঝুলিয়ে কেউ কখনো নেতা হতে পারে না। যুবলীগের মত সংগঠনের নেতা হতে হলে বিএনপি-জামাতের দুঃশাসন প্রতিরোধ করার সাহস থাকতে হবে। ভাইয়ের নামে স্লোগান, হাততালি আর প্ল্যাকার্ডে ছবি দেখিয়ে কেউ নেতা হতে পারেনি।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরুর পর বিশৃংখল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এমপি এসব কথা বলেন। 

এর আগে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার সাথে সাথে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মুহুমুর্হু স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো হলরুম। সমর্থকরা নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত টি-শার্ট পরে এবং হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকায় বিশৃংখল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মঞ্চে থাকা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতৃবৃন্দ দফায় দফায় স্লোগান দেয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানালেও কর্মী-সমর্থকরা তা উপেক্ষা করেই চিৎকার করতে থাকে। এমনকি হ্যান্ড মাইকে পছন্দের প্রার্থীর নামে স্লোগান দেয় একদল কর্মী।

এরপর সম্মেলনের বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আমি লজ্জিত। 

এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। জেলা যুবলীগের সভাপতি মঈন উদ্দিন খান চিনুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশিদ। 

বিকেলে একই স্থানে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। দ্বিতীয় অধিবেশন হল রুম থেকে সকল সমর্থকদের বের করে শুধু মাত্র কাউন্সিলরদের নিয়ে। এসময় স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে সুষ্ঠুভাবে ভোটের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল সভাপতি ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।

বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। ঘোষিত ফলাফলে অনুযায়ী জেলা যুবলীগের ১৩টি ইউনিটের ৩৭১ জন ভোটারের মধ্যে ৩৩২ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সভাপতি পদে সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল ২১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী এমদাদুল হক এমদাদ পেয়েছেন ১১৪ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক একরাম ১৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল পেয়েছেন ১৪৭ ভোট।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত