২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছে ছাত্রলীগ, অভিযুক্তদের বহিষ্কারে
প্রকাশ : ১৬ মে ২০১৯, ১০:৫৫
ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদপ্রাপ্ত ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হলো।
গোলাম রাব্বানী বলেন,“গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, বিবাহিত, অছাত্র, মামলার আসামিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত ১৭ জনের নাম আমরা প্রাথমিক ভাবে পেয়েছি। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁদের বহিষ্কারের মাধ্যমে পদশূন্য ঘোষণা করে বঞ্চিতদের স্থান করে দেব।”
এ সময় ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জনের নাম সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন গোলাম রাব্বানী। তাঁরা হলেন সহসভাপতি তানজিল ভূঁইয়া তানভীর, সুরঞ্জন ঘোষ, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান, বরকত হাওলাদার, শাহরিয়ার বিদ্যুৎ, মাহমুদুল হাসান তুষার, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, তৌফিকুল হাসান সাগর, সাদিক খান, সোহানী হাসান তিথি, মুনমুন নাহার বৈশাখী, দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব, উপসম্পাদক রুশি চৌধুরী ও আফরিন লাবণী।
এ সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, সারা দেশে সবার প্রত্যাশা পূরণ নাও হতে পারে। প্রতিবাদের ভাষা হতে হবে গণতান্ত্রিক। যারা সংগঠনে বিশৃঙ্খলা করেছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদেরও বহিষ্কার করা হবে।’
ছাত্রলীগের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ যারা করেছে তাদের বহিষ্কার করা হবে জানিয়ে এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন বলেন, ‘ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার পর একটি মহল বিভিন্ন মাধ্যমের যে আক্রমণাত্মক ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তা সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। ক্ষোভ প্রকাশের জন্য দলীয় ফোরাম রয়েছে। যারা শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদেরকেও খুঁজে বের করে বহিষ্কার করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন– ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ আরও অনেক।