'ঢাকার ৯৮ শতাংশ হাসপাতাল অগ্নিঝুঁকিতে'

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:০০

সাহস ডেস্ক

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ২০১৭ সালের এক জরিপে, ঢাকা মহানগরীর ৬২৩ হাসপাতালে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করে দেখা গেছে ৯৮ শতাংশ হাসপাতাল অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরে ‘হাসপাতালের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স’র মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ‘ওয়াক আপ কল’ ছিল। অধিকাংশ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড হলে হাসপাতালে রোগী ও স্বজনরা কিভাবে বেরুবেন তা জানেন না। অনেক হাসপাতাল এ স্টোরেজ সিস্টেম ঠিক নেই হাসপাতালে রোগী নির্গমন ব্যবস্থা একেবারে নাজুক। ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিয়ত ঝুঁকি মনিটরিং ও সে অনুযায়ী করণীয় সুপারিশ করে আসছে।

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হাসপাতাল পরিচালনার জন্য বিশেষ স্থাপনা প্রয়োজন হয়। সেখানে অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। দুর্বল হাউসকিপিং, কারপারকিং, রান্নাঘর, বয়লার হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড ঝুঁকি বাড়ায়। নিয়মিত অগ্নি-দুর্ঘটনা বিষয়ে হাসপাতালে কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত ফায়ার ফাইটিং মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করুন। আগুন লাগলে প্যানিক হবে না। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র চালানো শিখে রাখলে শুরুর ৩০ মিনিট আপনারা নিজেরেই অগ্নি-দুর্ঘটনা মোকাবিলা করতে পারবেন।

ফায়ার সার্ভিসর মহাপরিচালক (অপারেশন) শাকিল আহমেদ বলেন, অধিকাংশ হাসপাতালেই ফায়ার লগ বুক মেনটেন করা হয় না। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেটি জানার কোনো সুযোগ থাকে না বা তাৎক্ষণিক কারণ নিরুপণ করাও সম্ভব হয় না। হাসপাতাল পরিচালনাকারীদের এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, শেরেবাংলা নগর এলাকায় মোট নয়টি বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। যেকোনো অগ্নি-দুর্ঘটনা সেবা পাওয়ার জন্য কোনো ফায়ারস্টেশন নেই। এই এলাকায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর দুর্ঘটনার কথা বিবেচনা করে অন্তত একটি মিনি ফায়ারস্টেশন ও অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা দরকার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত