ডাস্টবিনে ৩১ নবজাতকের মরদেহ

কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৩

সাহস ডেস্ক

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাস্টবিন থেকে ৩১ নবজাতকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। অপরদিকে সুরতহালের দুদিন পর হাসপাতাল মর্গের হিম ঘরে থাকা ৩১ নবজাতকের মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। বুধবার বেলা দেড়টার দিকে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের কাজ শুরু হয়।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তারা গাইনি বিভাগের কয়েকজন নার্সের সাক্ষ্য নেন। এছাড়া হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গেও কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, হাসপাতালে জন্ম নেয়া অপরিণত শিশুর মরদেহ কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য মেডিসিনের মাধ্যমে বোতলে ভরে রাখা হয়। ১৫/২০ বছর পূর্বে অপরিণত এসব শিশুর মরদেহ সংরক্ষণ করা হয়। ওই বোতলগুলো গাইনি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত ছিল। তাছাড়া বোতলে থাকা মেডিসিনের মেয়াদও শেষপর্যায়ে থাকায় তা মাটিচাপা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ওয়ার্ড বয়রা কোনো কিছু না বলে হাসপাতালের পেছনে ডাস্টবিনে স্তূপ করে ফেলে রাখে।

পরবর্তীতে টোকাইরা সেখান থেকে অপরিণত শিশুর মরদেহ ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বের করে নিয়ে যায়। সোমবার রাত ৮টার দিকে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের লোকজন হাসপাতালের ময়লা অপসারণ করতে গেলে জরুরি বিভাগ সংলগ্ন পানির ট্যাঙ্কের নিচ থেকে অপরিণত শিশু এবং মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পায়। এ ঘটনা জানতে পেরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

এরপর দায়িত্বে অবহেলার কারণে গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. খুরশিদ জাহান এবং ওই বিভাগের ওয়ার্ড ইনচার্জ নার্স জোৎস্না বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার সকালে অধ্যাপক ডা. জহুরুল হক মানিককে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয় । কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ডা.ফয়জুল বাসার এবং ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. ইমতিয়াজ উদ্দিন। বুধবার সকালে তারা তদন্ত কাজ শুরু করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত