আজ বসছে অষ্টম স্প্যান

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১০

সাহস ডেস্ক

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সেতুর জাজিরা অংশে বসছে আরও একটি স্প্যান। এবার সেতুর ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারে বসানো হচ্ছে আট নম্বর স্প্যানটি। ইতোমধ্যেই মাওয়া প্রান্ত থেকে স্প্যানটি পিলারের কাছাকাছি আনা হয়েছে। এ নিয়ে জাজিরা প্রান্তে বসতে যাচ্ছে সাতটি স্প্যান। আর মাওয়া প্রান্তে বসেছে একটি স্প্যান।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নদীর মাওয়া প্রান্ত থেকে জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫ ও ৩৬ নম্বর খুঁটির পিলারের দিকে রওয়ানা হয় আট নম্বর স্প্যানবাহী ক্রেনটি। বিকেলের মধ্যে স্প্যানটি সেখানে পৌঁছায়। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটার মধ্যে স্প্যানটি বসানো হবে।

জানা গেছে, ২৩ জানুয়ারি জাজিরা পয়েন্টে বসানো হয় সেতুর ৬ষ্ঠ স্প্যান। সে হিসেবে এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে পদ্মা সেতুতে আজ বুধবার বসছে আরও একটি স্প্যান। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫ ও ৩৬ নম্বর খুঁটির ওপর বসছে এই সপ্তম স্প্যানটি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে জাজিরা প্রান্তে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর একটানা ১ হাজার ৫০ মিটার পর্যন্ত দৃশ্যমান হবে।

প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে সাতটি স্প্যান বসানো হয়েছে। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্তে ছয়টি ও মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যান বসানো হয়। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।

অপরদিকে মাওয়া প্রান্তে সেতুর পিলার নিয়ে সব জটিলতা কেটে গেছে। নদীর তলদেশের মাটি ও নদী শাসনের জটিলতার কারণে এই প্রান্তের সেতুর ৬ এবং ৭ নম্বর পিলারে দেখা দিয়েছিল জটিলতা। তবে নকশায় পরিবর্তন এনে সেই জটিলতার অবসান ঘটানো হয়েছে। মাওয়া প্রান্তের ২০টি পিলারের কাজ ৬টি পাইলের মাধ্যমে সম্পন্ন করা গেলেও পরিবর্তিত নকশায় ৬ এবং ৭ নম্বর পিলার বসানো হবে সাতটি পাইলের ওপর। পরিবর্তিত ওই নকশা অনুমোদন করেছে পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ।

দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের মতে, নিজস্ব অর্থায়নে এমন একটি অবকাঠামো নির্মাণ করার সাহস বাংলাদেশের সক্ষমতাকেই প্রমাণ করে। এতে মানুষের আস্থা ও সাহস বেড়েছে। সামগ্রিক বিবেচনায় অবশ্যই বাংলাদেশ তার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। তবে পরবর্তী কাজগুলো সময়মতো সঠিকভাবে করার ওপরও এই সক্ষমতা নির্ভর করে। সে দিকটিও নজরে রাখা দরকার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত