সংরক্ষিত আসনের ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:১৬

সাহস ডেস্ক

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৯ জনের মনোনয়নপত্রই বৈধ হওয়ায় এবং তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চূড়ান্ত ঘোষণা শেষে ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় বিকেল ৫টার পরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৪ মার্চ সংরক্ষিত মহিলা আসনে ভোট গ্রহণ নির্ধারিত হলেও ৪৯টি আসনেই একক প্রার্থী থাকায় এই ভোট গ্রহণের দরকার হচ্ছে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে আসন পাওয়ার আনুপাতির হারে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি চারটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি ও স্বতন্ত্র জোট একটি আসন পেয়েছেন। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আট প্রার্থী শপথ না নেওয়ায় তাদের কোটার একটি সংরক্ষিত আসনের তফসিল এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৫৮টি আসন, জাতীয় পার্টি ২২টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২টি, জাতীয় পার্টি-জেপি ১টি ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ১টি আসন পেয়েছে। মহাজোট মোট আসন পেয়েছে ২৮৯টি।

অন্যদিকে বিএনপি ৬টি ও গণফোরাম ২টি আসন পেয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মোট ৮টি আসন পেয়েছে। আর স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৩ প্রার্থী।

আওয়াম লীগের যে ৪৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সূবর্ণা মোস্তফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম, কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তি চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে হোসনে আরা, নেত্রকোণা থেকে হাবিবা রহমান খান ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন্নেছা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলী, নংরসিদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম সাকী, ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুর থেকে পারভীন হক শিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমীনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্না আহমেদ।

জাতীয় পার্টির চার নির্বাচিত নারী সদস্য হলেন- সালমা ইসলাম, রওশনারা মান্নান, নাজমা আক্তার ও মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী।

ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে রাশেদ খান মেননের স্ত্রী লুৎফুন নেসা খান ও স্বতন্ত্র থেকে সেলিনা ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

সঙ্গত সংরক্ষিত মহিলা আসনে কোনও জেলা কোটা নেই। ফলে যেকোনও দল চাইলে তার কোটার প্রার্থীদের দেশের যেকোনও অঞ্চল থেকে নির্ধারণ করতে পারেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্য জেলাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের প্রার্থী ঠিক করেছে বলে জানা গেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত