‘অনিয়মকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না’

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:২০

সাহস ডেস্ক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘অনিয়ম-দুর্নীতি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। যারা দুর্নীতি করছেন, ব্যাড প্র্যাকটিস করছেন- দ্রুত সংশোধন হোন। এসব কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।’

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় রাজধানীর বনানীর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয় পরিদর্শনে গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিআরটিএতে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, আগের তুলনায় বিআরটিএ অফিসগুলোতে হয়রানি অনেক কমেছে। তারপরও ভেতরে অনেক সমস্যা আছে। এসবও বরদাশত করা হবে না। সচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

সেতুমন্ত্রী এও বলেন, আজ পদ্মাসেতুর আরেকটা স্প্যান বসেছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের এ মেগা প্রকল্পটির এক কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করা হবে। আর মতিঝিল পর্যন্ত চালু করতে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আগামী ২৬ জানুয়ারি দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন করে মনোনয়ন দেওয়া হবে। আগের প্রার্থী পুনরায় পাবেন কি-না, এটা সংশ্লিষ্ট মনোনয়ন বোর্ড ঠিক করবে। আশা করি সিটি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তাছাড়া ওইদিন কিশোরগঞ্জে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আসনেও উপনির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

আধুনিক যুগোপযোগী সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিআরটিএকে ঢেলে সাজানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অনিয়মকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। দুর্নীতিমুক্ত বিআরটিএ চাই। বিআরটিএতে এসে মানুষ যেনো হয়রানি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, অতীতে এমনও হয়েছিল, গাড়ি না এনে ফিটনেস পাওয়া যেতো। আমি পুরোপুরি দৃশ্যপট পরিবর্তন চাই। ভেতরে-বাইরে দালালদের দৌরাত্ম কমাতে হবে। ভেতরে যদি যোগসাজশ না থাকে, তাহলে তারা কীভাবে সুযোগ পায়। আমি চাই না, দালালদের কারণে বিআরটিএর দুর্নাম হোক।

বিআরটিএর অসাধু কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেদের সংশোধন করুন। না হয় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। টোল আদায়ের নামে মেঘনা-গোমতীতে কোনোভাবেই হয়রানি করা যাবে না।

নতুন করে যাত্রা শুরু করতে চান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করে অনেক হয়রানি কমিয়েছি। এটা আরও কমিয়ে আনতে হবে। কর্মকর্তারা যদি দালালদের পাত্তা না দেন, তাহলে কমে যাবে। জনবল সংকট ছিল, এটা অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। বিআরটিএকে গতিশীল প্রতিষ্ঠান করতে যা প্রয়োজন, তা করবো।

মন্ত্রী বিআরটিএর লাইসেন্স সমস্যা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমানের কথা শোনেন। এটা কীভাবে সমাধান করা যায়, সে ব্যাপারে নির্দেশ দেন। এসময় জরাজীর্ণ গাড়ি কেনো বন্ধ করা হচ্ছে না, জানতে চান মন্ত্রী।

জবাবে মশিয়ার রহমান বলেন, এটা নিয়ে মালিক শ্রমিক পক্ষ ঝামেলা করে। ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা যাচ্ছে না। তখন ডাম্পিং স্টেশনের সুনির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে দিতে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তাব দেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

এসময় বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত