মেট্রোরেলে বরাদ্দ কমছে ১ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৪০

সাহস ডেস্ক

দশটি মেগা প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করাই নতুন সরকারের অন্যতম টার্গেট। কাজেই স্বপ্নের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এগুলোতে দেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ।

সেই ধারাবাহিকতায় বছরে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকার নতুন মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছিলো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের নতুন এডিপিতে মেট্রোরেল প্রকল্পে ৩ হাজার ৯০২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান করতেই এই বরাদ্দ।

২০১৮ সালের ১০ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে নতুন এই এডিপির অনুমোদন দেওয়া হয়। যদিও সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্পের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ২ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। ফলে চলতি বছরে প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা খরচ করতে পারছে না সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
 
রবিবার (২০ জানুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে চূড়ান্ত হবে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি)। শেরে বাংলা নগরের এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরএডিপি চূড়ান্ত করবেন। এই সভায় মেট্রোরেল প্রকল্পের বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করা হবে।

মেট্রোরেলের বরাদ্দ কমার বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএন সিদ্দিক বলেন, ব্যয় কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত দেওয়ার কেউ না। শুধু আমাদের প্রস্তাবনা জানিয়ে দিয়েছে। সরকার যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তখন বরাদ্দ বাড়তেও পারে।

কী কারণে বরাদ্দ কমছে-এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করেননি এমএন সিদ্দিক।

উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উড়ালপথ এবং স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সূত্র আরও জানায়, প্যাকেজ-০৩ ও ০৪ এর আওতায় উত্তরা নর্থ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও নয়টি স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। উভয় প্যাকেজের কাজ ২০১৭ সালের ১ আগস্ট শুরু হয়েছে। সংশোধিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। টেস্ট পাইল, চেক বোরিং এবং মোট ৭৬৬টি পাইল ক্যাপের মধ্যে ২৩৫টির নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া মোট ৪৪৮টি পিয়ার হেডের মধ্যে ৮৮টি এবং ৪ হাজার ৫৭৭টি প্রিকাস্ট সেগম্যান্টের মধ্যে ৬১৭টির সম্পন্ন হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে ৩০০ মিটার ভায়াডাক্ট। সংশোধিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩০ জুন এ প্যাকেজের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর বাস্তব অগ্রগতি ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ২৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।

২০ দশমিক ১ কিলোমিটার মেট্রোরেলের বাকি অংশের (মতিঝিল পর্যন্ত) কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে ২০২০ সালের মধ্যে। মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে। ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা-নেওয়া করবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত