বিউটি আক্তার হত্যার ঘটনায় অভিযোগপত্র দাখিল

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৮:১২

সাহস ডেস্ক

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কিশোরী বিউটি আক্তার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এতে বিউটির বাবা সায়েদ আলী, প্রতিবেশী চাচা ময়না মিয়া ও ভাড়াটে খুনি কামাল মিয়াকে আসামি করা হয়েছে।

আজ রবিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা। তিনি বলেন, বিউটি হত্যাকাণ্ড দেশে বিদেশে একটি আলোচিত ঘটনা। পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত হত্যাকারীদের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।

হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম আজ রবিবার হবিগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের ১৪ বছরের কিশোরী বিউটি আক্তারকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান বখাটে বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা। এক মাস আটকে রেখে ধর্ষণ-নির্যাতন করা হয় তাকে। এরপর বিউটিকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান বাবুল। এ ঘটনায় ৪ মার্চ বিউটির বাবা দিনমজুর সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কলমচানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সাক্ষী করা হয় সায়েদ আলীর প্রতিবেশী ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ময়না মিয়াকে। এ ঘটনার পর বিউটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় লাখাই উপজেলার গুণিপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে।

গত ১৬ মার্চ রাতে ওই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় বিউটি। পরদিন গত ১৭ মার্চ গুণিপুর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে হাওরে বিউটির লাশ পাওয়া যায়। ১৮ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়া ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চান বিবিকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে গত ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলম চান ও সন্দেহভাজন হিসেবে বাবুলের বন্ধু একই গ্রামের ইসমাইল মিয়াকে অলিপুর থেকে গ্রেপ্তার করে।

৩১ মার্চ সিলেট থেকে বাবুলকে আটক করে র‍্যাব। অন্যদিকে পুলিশ আটক করে বিউটি বাবা সায়েদ আলী ও ময়না মিয়াকে। ৬ এপ্রিল হবিগঞ্জের আদালতে বাবুল, সায়েদ আলী ও ময়না মিয়া পৃথক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে বাবুল বিউটিকে অপহরণ ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। অন্যদিকে সায়েদ আলী ও ময়না মিয়া ভাড়াটে খুনি কামাল মিয়াকে দিয়ে বিউটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত