রাজশাহীতে জমে উঠেছে আমবাজার

প্রকাশ : ০১ জুন ২০১৮, ১৬:৪৬

সাহস ডেস্ক

রাজশাহীতে জমে উঠেছে আমের কেনাবেচা। দেশের অন্য অঞ্চলের ক্রেতারা এখন রাজশাহীর বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন। কুরিয়ারের মাধ্যমে স্থানীয়রা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাচ্ছেন রাজশাহীর আম। রাজশাহীর নগরীর উপকণ্ঠে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে সবচেয়ে বেশি আম কেনাবেচা হয়।

এছাড়াও নগরীর সাহেববাজার, হড়গ্রাম, উপশহর, শালবাগানে বিভিন্ন জাতের আম নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বসে থাকেন। আবার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকে ফেরি করেও আম বিক্রি করছেন।

আম বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় বানেশ্বর বাজারের ইজারাদার মন্টু সরকারের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রশাসনের নির্দেশ পাওয়ার পর কৃষকরা আম আনা শুরু করেছেন। গত ৮-১০ দিনের মধ্যে বানেশ্বর বাজারে আম আসতে শুরু করেছে। এখন বাজার জমজমাট। কারণ গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাত, রাণীভোগ, এবং স্থানীয় গুটি জাতের সব আম গাছে পেকে গেছে। তাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আমচাষিরা প্রত্যেক দিনই গাছ থেকে আম নামিয়ে বাজারে নিয়ে আসছেন। বাজার এখন আমে জমজমাট। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ ট্রাক আম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। 

বানেশ্বর বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ফরমান আলী জানান, গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১ হাজার থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত। আর স্থানীয় গুটি জাতের সব আম ৬০০ থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চাকরির কাজে এসেছেন আবু তৈয়ব রহমান। কাজ শেষ ঢাকায় ফেরার আগে রাজশাহীর আম কিনে পরিবারের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানালেন, জাত হিসেবে আম তেমন চিনতে পারেন না তিনি। তবে গোপালভোগের কথা বেশি শুনেছেন। তাই এক মণ মাঝারি সাইজের আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বড় সাইজের আমগুলোর দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ রাজশাহী অঞ্চল অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। আর এই জেলায় অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন। একইভাবে নওগাঁ জেলায় ১২ হাজার ৬৭১ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৪২ মেট্রিক টন, নাটোরে ৪ হাজার ৮২৩ হেক্টর জমিতে ৫৬ হাজার ২১ মেট্রিক টন আমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

এছাড়া রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর রাজশাহী জেলায় ১৬ হাজার ৯৬১ হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিল। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৩ হেক্টর আম বাগান। আর বাগানে রয়েছে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯টি আম গাছ। কোনও দুর্যোগ না হলে এবার ২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন আশ্বিনা, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগ, ক্ষীরসাপাত, আম্রপালি, তোতাপরি ও স্থানীয় জাতের গুটি আমের ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জেলার হিসাব মতে, সবচেয়ে বেশি আমের গাছ রয়েছে চারঘাট ও বাঘা উপজেলায়। এরমধ্যে চারঘাট উপজেলায় ৩ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৪৫০টি ও বাঘা উপজেলায় ৮ হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৪টি গাছ আছে।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত