সবজি চাষে স্বাবলম্বী পাহাড়ি অঞ্চল

প্রকাশ : ০৫ মে ২০১৮, ১৫:২৮

তপু আহম্মেদ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পূর্বাঞ্চলে বিশাল এলাকা জুড়ে পাহাড়। এক সময়ের অবহেলিত জনপদ নামে পরিচিত এ অঞ্চলে কালের বিবর্তনে আজ শক্তিশালী অর্থনীতি তৈরি হয়েছে। আর এই পরিবর্তনশীল অর্থনীতিতে মূল ভূমিকা রাখছে বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ।

সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, উপজেলার সন্ধানপুর, রসুলপুর, ধলাপাড়া ইউনিয়ন এর সাথে বর্তমানে সাগরদিঘী, লক্ষিন্দর, সংগ্রামপুর নামে আরো ৩টি নতুন ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে। একটি সময় এ সব অঞ্চলে শিক্ষাদীক্ষাসহ অর্থনীতিতে পিছিয়ে ছিলো। বর্তমানে এ অঞ্চলে এখন কলেজ, স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে এগিয়ে নিয়েছে এই শিক্ষার আলো।

এসব প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথে এলাকায় শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এক সময় কোন রোগি অসুস্থ হলে ঘাটাইল সদরে আসতে অনেক বেগ পেতে হলেও বর্তমানে রাস্তা ও যাতায়াত সহজ হওয়াতে এরকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। আর এর পিছনে রয়েছে অর্থনীতিতে উন্নয়ন।

আর এই অর্থনীতিতে উন্নয়ন ঘটিয়েছে সবজি চাষ, মুরগীর ফার্ম, গরুর ফার্ম। এ এলাকায় প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে সবজির। এ অঞ্চলের লোকজন সবজি বিক্রি করে বছরে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা আয় করছে বলে ঘাটাইল কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়।

যদিও বর্তমানে ডিমের দাম কম থাকাতে অনেক খামারী তাদের ব্যবসা নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। পাহাড়ি অঞ্চলের সবজি চাষ এ এলাকার অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

এলাকার ফুলমালিরচালা, আশারিয়াচালা, কামালপুর, পাগারিয়া, আমতলা, সলিংবাজার, সানেবান্ধা, সাগরদিঘীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সবজি চাষ হচ্ছে। এসব সবজির মধ্যে কলা, পেপে, শশা, বেগুন, সীম, কুমড়া, লাউ, করলাসহ বিভিন্ন রকমের সবজি। যা চাষ করে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে এ অঞ্চলের মানুষ। এসব সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী হচ্ছে।

ঘাটাইল উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মতিন বিশ্বাস জানান, আমরা পাহাড়ি অঞ্চলে কৃষকদের কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি ভালো ফলনের জন্য। অদূর ভবিষ্যতে আরো সহযোগিতা করবো যাতে তারা সবজি চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত