জাবি ছাত্র জুবায়ের হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:৫৭

সাহস ডেস্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।

বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজার রায় পাওয়া ছয় আসামির মধ্যে বাকি চারজন আপিল করে খালাস পেয়েছে।

এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করেন। 

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মো. রইছ ওরফে সোহান, জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের মো. রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম। এদের মধ্যে রাশেদুল ইসলাম রাজু ছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ (পলাতক) ও নাজমুস সাকিব তপুর দণ্ড বহাল রয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বাকি চারজন খালাস পেয়েছেন। তারা হলেন- প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ, পরিসংখ্যান বিভাগের মাজহারুল ইসলাম, শফিউল আলম সেতুও অভিনন্দন কুণ্ডু অভি। এদের মধ্যে শুধু অরূপ পলাতক রয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুল মতিন খসুর, এসএম আবুল হোসেন, খায়রুল আলম, ফাহিমা রাব্বি ও রানা কাউসার। পলাতকদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন শফিকুল ইসলাম।

২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি জুবায়েরকে ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে কুপিয়ে জখম করেন। পরদিন ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানায় মামলা করে। তদন্ত শেষে পুলিশ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মদিনাবাগ নাবলাপাড়ার মো. তোফায়েল আহমেদের ছেলে জুবায়ের।

এই হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, খালাস পান দুজন।

এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান বাদী হয়ে খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, রাশেদুল ইসলাম ও খান মো. রইসের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত