দেশে কোরবানিযোগ্য পশু ১ কোটি ১৬ লাখ

প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০১৮, ১৭:২৫

সাহস ডেস্ক

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ১৬ লাখ। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭১ লাখ।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আজ রবিবার (২২ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, সারা বছরে দেশে প্রায় দুই কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া জবাই হয়। এর অর্ধেকই জবাই হয় কোরবানির ঈদের সময়।

গত বছর ঈদের আগে দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ছিল এক কোটি চার লাখ ২২ হাজার। সরকার গত কয়েক বছর ধরে বলে আসছে, দেশি গরু-ছাগলেই কোরবানির মওসুমের চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা বাংলাদেশের তৈরি হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সরকার এবার কোরবানির ঈদের ছুটি রেখেছে ২১ থেকে ২৩ অগাস্ট। অর্থাৎ, ১২ অগাস্ট জিলহজ মাসের চাঁদ উঠলে ২২ অগাস্ট বাংলাদেশের মুসলমানরা কোরবানির ঈদ উদযাপন করবেন।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদ সামনে রেখে সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের সভাপতিত্বে ‘কোরবানির হাটে ভেটেরিনারি সেবা সংক্রান্ত’ এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এবারের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

সভায় জানানো হয়, কোরবানির পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রতিটি ছোট হাটে একটি এবং বড় হাটে দুটি করে এবং ঢাকার গাবতলী হাটে চারটি মেডিকেল টিম থাকবে।
প্রতিটি টিমে একজন ভেটেরিনারি সার্জন, একজন টেকনিক্যাল কর্মী (ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট বা উপজেলা প্রাণিসম্পদ সহকারী–ইউএলএ) এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করে ইন্টার্ন ভেটেরিনারি সার্জন থাকবেন।

গতবছর সারাদেশে দুই হাজার ৩৬২টি কোরবানির হাটে এক হাজার ১৯৩টি মেডিকেল টিম কাজ করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবাদিপশুর খামারগুলোতে ‘স্বাস্থ্যহানিকর রাসায়নিক দ্রব্যের’ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে এবারও পদক্ষেপ নেবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধের বিক্রি, সরবরাহ, নিয়ন্ত্রণ, সীমান্তবর্তী এলাকায় এসব দ্রব্য চোরাইপথে প্রবেশ বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদারকি ছাড়াও জেলা ও উপজেলা প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত