হালদা নদীর তলদেশ গবেষণায় ইসাবেলা

প্রকাশ : ১১ জুন ২০১৭, ১৩:২৯

গভীরতা নির্ণয়, মাটি ও পানির গুণাগুণ পর্যবেক্ষণে প্রথমবারের মতো হালদা নদীর তলদেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে।

শনিবার (১০ জুন) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গবেষকরা নদীর আলমের কুম এবং নাপিতের ঘাটা এলাকায় পরীক্ষা পরিচালনা করেন। গবেষণায় হালদার মা-মাছের সংখ্যা ক্রমাগত কমে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তার উননেছা শিউলী, রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম, হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মনজুর কিবরীয়া, ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট নদী গবেষক ড. আনিসুজ্জামান খান, ফাউন্ডেশনের সদস্য ফজলে রাব্বি, সাকিল আহমেদ, আন্ডারওয়াটার এক্সপ্লোরার এস এম আতিকুর রহমান, শরীফ সারওয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হালদা গবেষক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, প্রায় ১৭ বছর ধরেই আমি হালদা নদী নিয়ে গবেষণা করছি, আমাদের এই গবেষণা একটি নির্দিষ্টসীমা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। হালদা গবেষণার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত আন্ডারওয়াটার এক্সপ্লোরার এর সাহায্যে নদীর তলদেশ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং মাছের জন্য নিরাপদ স্থান নির্ণয় করা হবে।

আন্ডারওয়াটার এক্সপ্লোরার এস. এম আতিকুর রহমান বলেন, হালদা হল মাছের জন্য একটি আদর্শ স্থান। এখানে মাছেরা ১৯টি পয়েন্টে বসবাস করে। এখন আমরা গবেষণার মাধ্যমে খুঁজে বের করব নদীর তলদেশে মাছের জন্য নিরাপদ স্থানসমূহ এবং মা-মাছের যেখানে বসবাস করে সেখানকার গভীরতা।

পরীক্ষাকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, হালদা হল মাছেদের জন্য নির্ভরযোগ্য একটি জায়গা। নদীর এই জায়গাকে স্থানীয় ভাষায় কুম বলা হয়। আমরা এই কুমের মাটি ল্যাবে নিয়ে পরীক্ষা করব।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, হালদা নদী জাতীয় সম্পদ। তাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কঠোর অনুশাসন এবং দিক নির্দেশনা মোতাবেক এখন থেকে জেলা প্রশাসন হালদা নদী রক্ষায় প্রয়োজনে তা বাস্তবায়ন করবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত