এখনও ধরা পড়েনি, উল্টো জিডি করছে অস্ত্রধারী নিয়াজুল

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:০১

সাহস ডেস্ক

প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলাকারী নিয়াজুল ইসলাম খানকে দুই দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ খুঁজে না পেলেও বাদী হয়ে গত ১৭ জানুয়ারি (বুধবার) নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অস্ত্র ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ দাখিল করেছেন নিয়াজুল।

অভিযোগে নিয়াজুল জানান, গত ১৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে যাওয়ার পথে সায়াম প্লাজা এলাকায় তাকে মারধর করা হয়। তখন তিনি আত্মরক্ষার্থে অস্ত্র বের করলে আসামিরা তাকে পিটুনি দিয়ে তার অস্ত্রটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইভী সমর্থক ঠিকাদার আবু সুফিয়ানসহ ১৭ জনকে আসামি করেছেন তিনি। আসামিরা কেউ আইভীর আত্মীয়, কেউ কাউন্সিলর, কেউ সমর্থক।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, অভিযোগটি জিডি হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করে তদন্ত করছে পুলিশ। তবে নিয়াজুল নিজে গিয়ে না কি তার পক্ষে কেউ অভিযোগটি দায়ের করেছেন, সে বিষয়ে মুখ খোলেনি পুলিশ। নিয়াজুলের কোনো খোঁজও তার বাড়ি কিংবা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মেলেনি।

পুলিশ সুপার বলেন, অস্ত্রধারী নিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তাকে খুঁজছে পুলিশ।

এদিকে মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন মেয়র আইভী। তিনি পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছেন।

আইভীর অভিযোগ, সেদিন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা হয়েছিল, তখন নিয়াজুল অস্ত্র হাতে চড়াও হয়েছিলেন।

এ বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, তাকে (নিয়াজুলকে) আইভীর প্রিয় বন্ধু সুফিয়ানসহ বিএনপির ক্যাডাররা ধরে তিন দফা মারধর করেছে। চতুর্থ দফায় সে আত্মরক্ষার্থে পিস্তল বের করেছে। কিন্তু কোনো গুলি ছোড়ে নাই। সরকার তাকে অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছে তো আত্মরক্ষার্থে।

নিয়াজুলের পরিচয় তুলে ধরে শামীম বলেন, নিয়াজুল আওয়ামী লীগের সাহসী নেতা নজরুল ইসলাম সুইটের ছোট ভাই। যে সুইট বিএনপি শাসন আমলে খালেদাকে কালো পতাকা দেখিয়েছিল। সুইটকে জেলখানা থেকে বের করে র‌্যাব দিয়ে রাস্তার উপর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিয়াজুল ভাইয়ের হত্যার বিচার পায় নাই। তাদের পরিবারের কেউ রাজনীতিতে নাই। সে বিশাল মার্কেটের মালিক ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই নেতা আইভী ও শামীমের পুরনো দ্বন্দ্বের জেরে সিটি করপোরেশনের হকার উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুজনের সমর্থকদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় শহরের চাষাঢ়া এলাকা। তখন অস্ত্র হাতে নিয়াজুলের ছবি আসে, সেইসঙ্গে তাকে মার খেতেও দেখা যায় ঘটনার ভিডিওচিত্রে। ওই রাতেই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়াজুলের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়েরের খবরটি প্রকাশ পায়।

সাহস২৪.কম/জুয়েনা/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত