নিখোঁজ ল্যান্স নায়েকের লাশ মিলল ভারতে

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০১৭, ১৮:১৯

আসাদুজ্জামান সাজু

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে চোরাকারবারীকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিখোঁজ বিজিবি’র ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার লাশ পাওয়া গেছে।

বুধবার সকালে ভারতের অভ্যন্তরে তার লাশ উদ্ধার করেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বিকালে ভারতীয় বিএসএফ সুমন মিয়ার লাশ বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেন। গত সোমবার রাতে নিখোঁজ হন ওই বিজিবি’র ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া।

লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল গোলাম মোরশেদ বলেন, দুই দিন পর বুধবার সকাল ১০টার দিকে দহগ্রাম এলাকার ৪ কিলোমিটার ভাটিতে ভারতের অভ্যন্তরে তিস্তার নদীতে লাশটি দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে ১৩ ভারতীয় কুচবিহার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র একটি টহল দল ওই বিজিবি’র ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার লাশটি উদ্ধার করেন। বিকালে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ লাশটি বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেন।

বুধবার বিকাল ৩টার দিকে ভারতীয় কুচবিহার জেলার মেখলীগঞ্জ থানার অরুন ক্যাম্পের ২২ বিএসএফ’র কোম্পানি কমান্ডার বিনোদে রাজ লাশ হস্তান্তর করেন।

এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি’র রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাইফ ও বিজিবি’র রংপুর সেক্টর কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ।

পরে তিস্তা ব্যারাজ অবসরে ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া’র সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ হানিফ। লাশ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিজিবি’র ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার আটঘড়িয়ার আউশপাড়া এলাকায়।

ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া রংপুর ৬১-বিজিবি ব্যাটালিয়নে কর্মরত থাকলেও তিনি লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পে সংযুক্ত ছিলেন। গত সোমবার ইদের দিন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল দহগ্রাম সীমান্তের ৬ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলার এলাকায় তিস্তা নদীতে আবুলের চর যান। এ সময় ল্যান্স নায়েক টুটুল মিয়া, ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া ও সিপাহী উচ্চ প্রু মারমা ওই টহল টিমে ছিলেন। আবুলের চর এলাকায় তিস্তা নদীর কিনারে গরু চোরাকারবারীদের সাথে গরু টানাটানির এক পর্যায়ে টুটুল মিয়াকে নদীতে নামানো হয়।

এক পর্যায়ে চোরাকারবারীরা গরুর রশি ছেড়ে দিলে দুইটি গরুসহ কোন রকমে চরে ফিরে আসেন টুটুল মিয়া। এদিকে টুটুল মিয়া তলিয়ে যাচ্ছে ভেবে তাকে উদ্ধারের জন্য রাইফেল ও গোলাবারুদ উচ্চ প্রু মারমার হাতে জমা দিয়ে সুমন তিস্তা নদীতে নামেন। পরে তিনি সেখানেই নিখোঁজ হন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত