রাশিয়ান গ্যাস: নতুন চুক্তি একমাত্র ইউরোপীয় মিত্র সার্বিয়ার সঙ্গে

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২২, ২১:০৭

সাহস ডেস্ক

রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখতে দুই দেশের মধ্যে নতুন একটি চুক্তির বিষয়ে একমত হওয়ার খবর দিয়েছেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজেন্ডার বুচিক। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের টেলিফোন বার্তায় আলোচনার মাধ্যমে ওই চুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে জানান মি. বুচিক। গ্যাস সরবরাহ বিষয়ে সার্বিয়ার আগে থেকেই ১০ বছরের চুক্তি আছে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম এর সঙ্গে। তবে এর মেয়াদ আগামী ৩১ মে শেষ হওয়ার কথা। মেয়াদ ফুরাবাড় আগেই নতুন করে আরো তিন বছরের জন্য চুক্তির বিষয়ে একমত হতে পেরে ‘দারুণ খুশি’ সার্বিয়া। তবে এখনই গ্যাসের দামের বিষয়ে কিছু বলতে পারনে না বলে জানিয়েছেন মি. বুচিক। ‘এ বিষয়ে গ্যাজপ্রমের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে সব ঠিক করে নেওয়া হবে,’ বলেন তিনি।

২০০৮ সাল থেকে তেল ও গ্যাস সেক্টর দেখভালের দায়িত্ব রাশিয়ার কোম্পানিগুলোর হাতে ছেড়ে দিয়েছে সার্বিয়া। জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রমের ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাশিয়া। আগামী মাসের শুরুর দিকে সার্বিয়া সফর করবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তার ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে গ্যাস চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা যায়।

ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের জেরে রুশদের উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশ ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। ভুচিক বরাবর বলে আসছেন, সার্বিয়াকে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত করতে চান। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাকে রাশিয়ার সঙ্গে সার্বিয়ার সম্পর্ক জোরদার করতে দেখা গেছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে মস্কোর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বুচিক। এই হামলার জেরে পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও সেই দলে ভিড়েনি সার্বিয়া। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বেলগ্রেডের ওপর পশ্চিমারা চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন বুচিকসহ সার্বিয়ার অন্যান্য নেতারা। নেতারা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার লক্ষ্য ব্যাহত হলেও বলকান দেশগুলোকে অবশ্যই এই ধরনের চাপ প্রতিহত করতে হবে।

সার্বিয়ায় রাশিয়ান গ্যাস মজুদ রাখার ব্যবস্থা আরো বাড়ানোর বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে আলাপ করেছেন বলেও জানান বুচিক। ইউরোপে পুতিনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র বুচিক বলেন, “পুতিন আমাকে বলেছেন, যদি আমার মনে হয় এ বিষয়ে আরো আলোচনা করা দরকার তবে যেন আমি তাকে ফোন দেই।”

সাহস২৪.কম/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত