ক্ষমতা আরো পাকাপোক্ত করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৩:৩১
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2021/02/10/image-68257.jpg)
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা আরো পাকাপোক্ত এবং ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেত্রীর বিরুদ্ধে হুমকি, ভয় আরো জোরদার করেছে। গতকাল বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনীর জলকামান ব্যবহার ও রাবার বুলেট ছোড়ার পর আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আবারও রাস্তায় নেমেছে বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সৈন্যরা অং সান সুচি’র এনএলডি পার্টির সদরদপ্তরে অভিযান চালিয়ে লন্ডভন্ড করেছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে পুলিশ। তারা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে।
কিন্তু এসব বাধা উপেক্ষা করেই বুধবার সকালে বিক্ষোভকারীরা আবার রাস্তায় নামে।
যদিও মঙ্গলবার দেশটির বৃহৎ শহর ইয়াংগুন, মান্দালয় ও নেপিদোসহ আরো কিছ ুশহরে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ও রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রও নিন্দা জানিয়েছে। মঙ্গলবার দেশটি আবারো মিয়ানমারে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও জেনারেলদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ মঙ্গলবারের সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বরেল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর নতুন অবরোধ আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ বলেছে, তারা সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার বিশেষ অধিবেশনে বসবে।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) আরো কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করে।
গত নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। ওইদিন নবনির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় এবং বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।