পাকিস্তানে জুমার নামাজ ঠেকাতে যাওয়ায় পুলিশের উপর হামলা
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২০, ১৮:৪২
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2020/04/04/image-61321.jpg)
মহামারি করোনাভাইরাস রোধে পাকিস্তানে জুমার নামাজে মুসল্লিদের জমায়েত ঠেকানোর চেষ্টা করলে মুসুল্লিরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
৩ এপ্রিল (শুক্রবার) দেশটির বাণিজ্যিক শহর করাচির লিয়াকতাবাদে এ ঘটনা ঘটে।
ডন অনলাইন জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে শুক্রবারের জুমার বড় জমায়েত ঠেকাতে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিন্ধু প্রদেশ তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ জারি করা হয়। কারফিউ অমান্য করে করাচির লিয়াকতাবাদের গাউসিয়া মসজিদে বহুসংখ্যক মানুষ নামাজের জন্য একত্রিত হলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় মুসুল্লিরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারফিউ আইন অমান্যের অভিযোগে মসজিদের ইমামকে গ্রেপ্তার করতে গেলে এলাকাবাসী তাদের ওপর চড়াও হয়।
করাচি পুলিশের প্রধান গোলাম নবী মাইমুন ডনকে বলেছেন, লকডাউনের আইন ভঙ্গ ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গাউসিয়া মসজিদের ইমামসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পাকিস্তানজুড়ে ২ হাজার ৪৫০ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে সিন্ধু প্রদেশেই আক্রান্ত হয়েছে ৭৮৩ জন। আর গত পাঁচ দিনেই প্রদেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হায়দ্রাবাদে আক্রান্ত হয়েছে ১৩০ জন।
যে কারণে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে সিন্ধু প্রদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। গত সপ্তাহে মসজিদে ইমামসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিন্ধু সরকার। তবে মানুষজন তা উপেক্ষা করেই জামাতে নামাজ পড়েছে।
এরপরই এ সপ্তাহে জুমার নামাজ ঠেকানোর জন্য দুপুর ১২ থেকে ৩টা পর্যন্ত মানুষ চলাচল বন্ধ রাখতে কারফিউ জারি করা হয়। এ সময়ে সব বাজারহাটও বন্ধ রাখার কঠোর পদক্ষেপ নেয় স্থানীয় প্রশাসন।
সূত্র: ডন অনলাইন