ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই ভারতে
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০১৯, ১৬:৫৬
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2019/06/24/image-52919.jpg)
ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই। এখনো তারা হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে চলেছেন। গত বছর অনেকবার উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন সংখ্যালঘু মুসলিমরা।
প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে প্রকাশিত ২০১৮ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার রিপোর্টটিকে অর্থহীন ও মিথ্যে বলে দাবি করল ভারত।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতে নাগরিকদের অবস্থা কেমন, তা নিয়ে বিদেশিদের বলার কোনো এখতিয়ার নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালেও ভারতে নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতার অবনমনের ধারা অব্যাহত ছিল। ভারতের মতো একটি বহু ধর্ম ও বহু সংস্কৃতির দেশে ওই ঘটনা আগের চেয়ে আরও বেড়েছে।
ভারতের সরকার অনেক সময়ই সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। গো-হত্যার নামে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করেছে। এর ফলে প্রাণহানি পর্যন্ত হয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা আরও বেশি ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারতের ১০ রাজ্যে। এর মধ্যে রয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ছত্তীশগড়, গুজরাট, ওড়িষ্যা, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিবেদনের মধ্যে কোনো সত্যতা নেই।
এটা সম্পূর্ণ ভুল এবং মিথ্যা। গত এক বছরে যেসব সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো সবই ব্যক্তিগত ও স্থানীয় গণ্ডগোল। এর সঙ্গে কোনোভাবেই ধর্ম যুক্ত নয়। এমনটি জানিয়েছেন বিজেপি এমপি অনিল বালুনি।
আমাদের সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ম্লোগান হল- সবকা সাথ সবকা বিকাশ। দুঃখজনকভাবে এসব বিষয় রিপোর্টে কোনো জায়গা পায়নি।
সাহস২৪.কম/ইতু