অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনবে নিউজিল্যান্ড: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০১৯, ১৩:৫৮
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2019/03/16/image-48528.jpg)
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, ‘হামলাকারীর কাছে পাঁচটি বন্দুক ও একটি লাইসেন্স ছিল। আমাকে জানানো হয়েছে যে লাইসেন্সটি ২০১৭ সালের নভেম্বরে দেওয়া হয়েছিল। তার কাছে পাওয়া অস্ত্রগুগুলোর মধ্যে দুটি সেমি-অটোমেটিক, দুটি শটগান ও লিভার অ্যাকশন ফায়ারআর্ম।’
শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে ওয়েলিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী ব্রেনটন টারান্ট ২০১৭ সালের নভেম্বরে লাইসেন্স পেলেও অস্ত্র কেনা শুরু করেছিলেন ওই বছরের ডিসেম্বর থেকে।
প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যেহেতু এ ধরনের ঘটনা একের পর ঘটেই যাচ্ছে আর এগুলো ঘটছে লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়েই, তাই আমি ঠিক এই মুহূর্তে আপনাদের বলতে পারি...আমাদের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আসবে।’
গতকালের আগে ‘শান্ত দেশ’ হিসেবে পরিচিত নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে এর আগে বড় সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছিল ৩০ বছর আগে। ডেভিড গ্রে নামের এক বন্দুধারী গুলি চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনটিকে অনেক ঢিলেঢালা বলে মনে করা হয়। দেশটির অস্ত্র আইনে বন্দুকধারীকে নিবন্ধন নিতে হয়, তবে বন্দুকের নয়। দেশটিতে কত বৈধ বা অবৈধ বন্দুক আছে, এর সঠিক হিসাব নেই।
তবে মনে করা হয়, দেশটিতে বিভিন্ন মানুষের হাতে থাকা বন্দুকের সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ। এ হিসাব দেশটির পুলিশের। এর অর্থ হলো, দেশটির প্রতি তিনজন মানুষের একজনের অস্ত্র আছে। এই হার অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বেশি। অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি আটজন মানুষে একটি করে অস্ত্র আছে।