ভারতে না গিয়ে দেশে ফিরলেন সৌদি যুবরাজ
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৫
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2019/02/19/image-46973.jpg)
পাকিস্তান থেকে ভারতে না গিয়ে দেশে ফিরে গেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাকিস্তান সফর শেষে রিয়াদ ফিরে যান যুবরাজ।
আগামীকাল বুধবার ভারতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যুবরাজের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সৌদি যুবরাজের এই সফরে বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ এবং আবাসন খাতে দিল্লি ও রিয়াদের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা রয়েছে। এরপর সেখান থেকে তাঁর চীন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। আর চীন সফরের মাধ্যমেই তাঁর এশিয়া সফর শেষ হওয়ার কথা।
তবে গতকাল সোমবার পাকিস্তান সফর শেষে ভারতে না গিয়ে রিয়াদ ফিরে যান সৌদি যুবরাজ। ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীর ও সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে ভারতের কৌশলগত অবস্থান সম্পর্কে আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে চায় রিয়াদ। ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বে ভারতের সংবেদনশীলতা মাথায় রেখে ভারতে যাওয়ার আগে পাকিস্তান থেকে সৌদি আরব ফিরে গেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
ইকোনমিক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে একঘরে করার প্রচেষ্টার মধ্যে সৌদি প্রিন্স পাকিস্তান সফর করেন, একে বিপত্তি হিসেবে দেখছে না ভারত। কারণ, তাঁর এই সফরের পরিকল্পনা পুলওয়ামার হামলার আগেই নেওয়া হয়।
এদিকে এর আগে সৌদি আরব বলছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমাতে কাজ করবে তারা। সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আর জুবাইর। তিনি বলেন, আরব দেশটির লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমানো এবং শান্তিপূর্ণভাবে কোনো সমাধানের জন্য এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে বের করা। আজ মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় দেশটির সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের অন্তত ৪৯ জন জওয়ান নিহত হন। আহত হন ৪১ জন। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। হামলার মাশুল পাকিস্তানকে দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় ভারত। জঙ্গি হামলার জেরে পাকিস্তানকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’-এর (এমএফএন) মর্যাদা প্রত্যাহার করে ভারত। শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তান থেকে আসা সব পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত।