প্রধানমন্ত্রী পদে থাইল্যান্ডের রাজকন্যার প্রার্থিতা বাতিল
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩১
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2019/02/11/image-46356.jpg)
আগামী মার্চে অনুষ্ঠিতব্য থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে লড়তে পারবেন না দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্নের বোন রাজকন্যা উবলরতনা।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করে বলেছে, রাজতন্ত্র অবশ্যই রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবে। তাই রাজপরিবারের কেউ এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
গত শুক্রবার আচমকাই ৬৭ বছর বয়সী প্রিন্সেস উবলরতনা মাহিডোল ঘোষণা দেন, আগামী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ‘থাই রক্ষা চার্ট পার্টি’র (থাই সেভ দ্য নেশন – টিএসএন) প্রার্থী হয়ে লড়বেন তিনি। দলটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ।
শিনাওয়াত্রা ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। ৮৬ বছর আগে থাইল্যান্ডে নিরঙ্কুশ সাম্রাজ্যবাদের সমাপ্তির পর থেকে এ পর্যন্ত রাজপরিবারের কোনো ঘনিষ্ঠ সদস্যের জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থিতার ঘটনা ছিল এই প্রথম।
তাই প্রিন্সেস উবলরতনার সক্রিয় রাজনীতিতে আসার বিষয়টিকে ‘অনুচিত’ মন্তব্য করে নজিরবিহীন এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন রাজা নিজেই। শুক্রবার রাজপ্রাসাদ থেকে ইস্যু করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রের সংস্কৃতির পরিপন্থি।
অবশ্য থাইল্যান্ডের আইন অনুসারে, নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে যদি একবার কারও নাম জমা হয়ে যায়, তা আর ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তবে সবকিছুর ওপরে প্রার্থীদের বৈধতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতেই।
থাইল্যান্ডে প্রচলিত প্রথা এবং রাজা ভাজিরালংকর্নের আপত্তির পর বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন, ২৪ মার্চ ভোট হওয়ার আগেই নির্বাচন থেকে উবলরতনাকে বহিস্কার করতে পারে নির্বাচন কমিশন। সেটিই সত্যি হলো।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষক দলের পর্যবেক্ষণে রয়েছে থাইল্যান্ডের এই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন। কেননা মনে করা হচ্ছে, ২০১৪ সালে আরেক দফা সামরিক অভ্যুত্থানের ফল হিসেবে ৫ বছরের সামরিক শাসনের পর এটি থাইল্যান্ডের গণতন্ত্রে ফেরত আসার প্রথম সুযোগ।