শ্রীলঙ্কাকে ২৫৮ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করেই 'সম্মানজনক স্কোর' করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রানের সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা।

রবিবার (২৩ মে) শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশকে হারাতে সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ২৫৮ রান।

শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় শতরান হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছিলেন সেরা চার ব্যাটসম্যান। সেখান থেকে শতরানের জুটি ও জোড়া ফিফটি করে দলকে লড়াকু সংগ্রহে পৌঁছে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম।

তবে মুশফিকের ইনিংসটা আক্ষেপ হয়েই রইল। এমন দুর্দান্ত একটা ইনিংস, কিন্তু শেষ হলো রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ফাঁদে পড়ে। নয়তো তার ৮৭ বলে ৮৪ রানের ওপর দাঁড়িয়েই যে বাংলাদেশের ইনিংস। তামিম ইকবাল ফিফটি পেয়েছেন, ফিফটি পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহও। কিন্তু মুশফিক যে তার ব্যাটে ইনিংসের গতিপ্রকৃতি ঠিক করে দিয়েছেন। তার ইনিংসেই যে বাংলাদেশের সংগ্রহটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে শ্রীলঙ্কানদের।

লিটন দাস ওয়ানডেতে তার ফর্মের ‘ধারাবাহিকতা’ রক্ষা করেছেন আজকের ম্যাচেও। দুষ্মন্ত চামিরার বল খোঁচা দিয়ে প্রথম স্লিপে যখন তিনি ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ক্যাচ দেন, তখন স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫ রান বাংলাদেশের। ভালো শুরুর লক্ষ্য নিয়ে ধাক্কা খেলেন তামিম ইকবালরা। তামিম অবশ্য লিটনকে হারানোর ধাক্কাটা ভালোই সামলেছেন তিন নম্বরে নামা সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৮ রান যোগ করেন তারা। নেতৃত্বটা দিয়েছেন অবশ্যই তামিম। বেশ কিছুদিন বিরতির পর জাতীয় দলের জার্সিতে নেমে কিছুটা খোলসবন্দীই ছিলেন সাকিব। তবে উইকেটে থিতু হতে হতেই গুনাতিলকার বলে লং অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেলেন সাকিব। তিনি ফেরেন ৩৪ বলে ১৫ রান করে।

হাল ছাড়েননি তামিম। করেছেন ফিফটি। কিন্তু নিজের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ৫২ রান করেছেন ৭০ বল খেলে। তিনি আউট হন ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু সেই রিভিউ কাজে লাগেনি। আউট হওয়ার আগে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৫৬ রানের একটি জুটি গড়েন তিনি।

তামিমের ফেরার পর দ্রুতই তাকে অনুসরণ করেন মোহাম্মদ মিঠুনও। তামিমের পরপর মিঠুনের ফেরাটা বাংলাদেশকে বেশ বিপদে ফেলে দিয়েছিল। স্কোরবোর্ডে তখন ১০০ রানও ওঠেনি। ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের ইনিংস পথ হারাবে কি না সে শঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু ভরসা হয়ে ছিলেন মুশফিক। মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেই শঙ্কা দূর করেন ১০৯ রানের জুটি গড়ে। মূলত এই জুটিই বাংলাদেশকে নিয়ে যায় লড়াকু স্কোরের দিকে। ৮৪ রান করেন মুশফিক।

মাহমুদউল্লাহ আউট হন ৭৬ বলে ৫৪ রান করে। আফিফের সঙ্গে তিনি যোগ করেন ২২ রান। দলে জায়গা পেয়ে আফিফ নিজের কাজটা ভালোই করেছেন। শুরুর দিকে ব্যাটে–বলে লাগাতে কিছুটা সমস্যা হলেও শেষটা করেছেন ভালোই। ৩ বাউন্ডারিতে ২২ বলে ২৭ রান করেছেন তিনি। সাইফউদ্দিন ৯ বলে করেছেন ১৩। তিনি মেরেছেন ২ বাউন্ডারি।

লঙ্কানদের হয়ে সেরা বোল করেছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট দুষ্মন্ত চামিরা ও দানুষ্কা গুনাতিলকার।

বাংলাদেশের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছে শ্রীলঙ্কা।