বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহ একাদশ
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২০, ২০:৫৮
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2020/10/25/image-65972.jpg)
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে সুমন খানের বিধ্বংসী বোলিং এবং লিটন দাশ ও ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত ফিফটিতে নাজমুল একাদশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
রবিবার (২৫ অক্টোবর) মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাজমুল একাদশ ৭ উইকেটে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
এদিন টসে জিতে আগে নাজমুল একাদশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মাহমুদউল্লাহ। আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করতে সক্ষম হয় নাজমুল একাদশ।
১৭৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৯.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। দলের হয়ে মাত্র ৪ রানে আউট হন মুমিনুল হক। তবে এরপর আর দলকে চাপে পড়তে দেননি লিটন দাস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। মাহমুদুল ১৮ রান করে আউট হন।
পরে ইমরুলকে নিয়ে ফের জুটি বাঁধেন লিটন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫০ রানের জুটি গড়ে ২৭তম ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। তখন জয়ের জন্য দরকার মাত্র ৪৫ রান। লিটন ৬৭ বলে ৬৮ রান করে ফেরন। এরপর নামেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
পাঁচ নম্বরে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ঢঙে খেলতে থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার দেখাদেখি হাত খুলে খেলেন ইমরুলও। দুজন মিলে মাত্র ২১ বলেই করে ফেলেন ৪৮ রান, ইনিংসের ৩০ ওভার পূরণ হওয়ার আগেই দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে।
পুরো টুর্নামেন্টে কিপটে বোলিং করা নাঈম হাসানকে পরপর দুই বলে দুই ছক্কা মেরে ব্যক্তিগত ফিফটি হাকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন ইমরুল। ৫৪ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এবং ১১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
নাজমুল একাদশের হয়ে নাসুম আহমেদ ২টি ও আল আমিন হোসেন ১টি উইকেট নেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.১ বলে ১৭৩ রান করে অল আউট হয় নাজমুল একাদশ। দলের হয়ে শুরুতেই সাইফ হাসানের (৪) উইকেট হারায় নাজমুল একাদশ। ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য সরকার। ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। ৩৭ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছিল ফাইনালের আগে চার ম্যাচের তিনটিতে পঞ্চাশের ওপরে রান করে নিজেকে আসরে সবচেয়ে কার্যকর পারফরমার হিসেবে মেলে ধরেছিলেন মুশফিকুর রহীম।
ফাইনালের আগে ২০৭ রান করেই রান তোলায় সবার ওপরে মুশফিক। সঙ্গে আফিফ হোসেন ধ্রুবও ছিলেন। এই দুজনার সাথে দুই উদ্যমী তরুণ তৌহিদ হৃদয় আর ইরফান শুক্কুর আছেন শান্তর দলে। তাদের চওড়া ব্যাটের সাথে লড়াই হবে ফর্মে থাকা পেসার রুবেল হোসেনের। রাউন্ড রবিন লিগ শেষে ৪ ম্যাচে ১০ উইকেটে পাওয়া পেসার রুবেলই হয়ত হতে পারেন প্রতিপক্ষ ব্যাটিংয়ের ত্রাস।
এরপর ফের ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যর্থতার পরিচয় দেন সৌম্য। সেই ৫ রান নিয়েই আউট হন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত (৩২) ও আফিফ হোসেন (০) ফিরে গেলে ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নাজমুল একাদশ।
ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয় ষষ্ঠ উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়ে সেই চাপ ভালোভাবে সামাল দেন। ব্যক্তিগত ২৬ রান করে হৃদয় সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তবে অন্য প্রান্তে লড়াই করে অর্ধ-শতক তুলে নেন ইরফান। দলের রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। আউট হওয়ার আগে শুক্কুর করেন ৭৫ রান। শেষ পর্যন্ত ৪৭.১ ওভারে ১৭৩ রানে অলআউট হয় নাজমুল একাদশ।
মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন সুমন খান। এছাড়া রুবেল হোসেন নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন এবাদত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বেস্ট ব্যাটসম্যান অব দি ম্যাচ ইফরান শুক্কুর।
বেস্ট বোলার অব দি ম্যাচ সুমন খান।
বেস্ট ফিল্ডার অব দি ম্যাচ নুরুল হোসেন সোহান।
বেস্ট ব্যাটসম্যান অব দি টুর্নামেন্ট মুশফিকুর রহিম।
বেস্ট বোলার অব দি টুর্নামেন্ট রুবেল হোসেন।
বেস্ট ফিল্ডার অব দি টুর্নামেন্ট নুরুল সোহান সোহান।
বেস্ট কামব্যাক অব দি টুর্নামেন্ট তাসকিন আহমেদ।
ফাইনালে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সুমন খান এবং সিরিজ সেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম।