বরিশালে দ্বিতীয় দিনেও পরিত্যক্ত হয়েছে ম্যাচ, দর্শকে পরিপূর্ণ ছিল গ্যালারি
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ২৩:১৮
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2018/10/16/image-41993.jpg)
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আয়োজন করা হয়েছে বরিশালে। যে খেলা দেখার জন্য বরিশালবাসীর এত আগ্রহ, তাদের অপেক্ষাটা ফুরোয়নি গত দু’দিনেও। বরিশাল-রাজশাহীর ম্যাচে বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও পরিত্যক্ত হয়েছে কোনো খেলা ছাড়াই। তবুও বরিশালের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে দর্শকে ছিল পরিপূর্ণ। জাতীয় লিগে বরিশাল ভেন্যুর প্রত্যাবর্তনটা স্মরণীয় হয়ে থাকার মতো কিছু হয়নি এখনো।
আজ ১৬ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ম্যাচ রেফারি আকতার আহম্মেদ সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চারবার মাঠ পরিদর্শন শেষে দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। অথচ আজ খেলা দেখার আশায় সকাল থেকেই বরিশাল স্টেডিয়ামে প্রচুর দর্শকের সমাগম হয়।
সাড়ে চার বছর পর বরিশালের মাঠে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দেখতে তাঁদের আগ্রহের কমতি ছিল না। পুরো স্টেডিয়ামে উৎসবের আমেজ। যখন দুপুরে তাঁরা শুনলেন, না, খেলা হচ্ছে না, সব আশায় গুঁড়েবালি। ম্যাচ রেফারি বলেন, ‘গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আউটফিল্ড ভেজা। গত দুই দিন রোদ থাকার পরও সেটি শুকায়নি।’
আউটফিল্ড না শুকানোর পেছনে অবশ্যই দুর্বল পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দায়ী। খেলোয়াড়েরা জানালেন, গ্যালারি, ড্রেসিংরুম কিংবা খেলোয়াড়দের আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা না থাকলেও খেলার মাঠটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার উপযোগী করতে পারেননি আয়োজকেরা। বিসিবির পরিচালক ও বরিশালের শীর্ষ ক্রীড়া সংগঠক আলমগীর খান অবশ্য দাবি করলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নতির উদ্যোগ বেশ কয়েকবার তারা নিয়েছেন, ‘দীর্ঘ দিন বরিশাল স্টেডিয়ামে কোনো খেলা না হওয়ায় মাঠের ঘাস অনেক বড় ছিল। জাতীয় লিগের ভেন্যু ঘোষণা করার পর মাঠের পরিচর্যা শুরু হয়। ঘাস কাটা থেকে শুরু করে ড্রেসিংরুম সংস্কার করা হয়েছে। তবে আগ থেকে এই মাঠে নিয়মিত খেলা হলে এমন সমস্যা হতো না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা খুবই নাজুক। মাঠে পানি আটকে থাকে। এটা উন্নত করতে বেশ করার উদ্যোগ নিয়েও সফল হইনি।’
বরিশালে দীর্ঘদিন খেলা না হওয়ায় মাঠের পরিচর্যা ঠিকঠাক হয়নি। কিন্তু কক্সবাজারে তো নিয়মিতই খেলা হয়। সেখানেও কেন গত দুই দিনে ঢাকা বিভাগ-সিলেটের ম্যাচ হয়নি? কারণটা একই—পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল। গত দুই দিনই আউটফিল্ড ভেজা থাকায় একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। খেলা হয়েছে শুধু খুলনা ও বগুড়ায়। খুলনায় রংপুরের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে খুলনা অলআউট হয়েছে ৩০৪ রানে। সাজেদুল ইসলাম নিয়েছেন ৮১ রানে ৬ উইকেট। প্রথম ইনিংসে রংপুর করেছে ৪ উইকেটে ২০০ রান। বগুড়ায় চট্টগ্রামের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ, ৪৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাসকিনের তোপ সামলে তাসামুল হকের অপরাজিত ৮১ রানের সৌজন্যে চট্টগ্রাম দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ১৮৭ রান তুলে।
সাহস২৪.কম/খান