এমন ঘটনা প্রায়ই হচ্ছে, এটা হতাশার বিষয়: মাশরাফি
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০১৮, ১২:২৩
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2018/07/26/image-38728.jpg)
শেষ মুহূর্তে এসে তিন রানের পরাজয়। এমন হারের ব্যাখ্যায় কি বলবেন তা নিয়ে কোনও ভাষাই খুঁজে পাচ্ছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। টেস্টে পরাজয়ের পর পুরো দলকে এক সুতোয় গেঁথেছিলেন মাশরাফি। যার ফল এসেছে প্রথম ম্যাচে জয় দিয়েই। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে সেই বুকভরা কষ্ট।
বুকভরা কষ্ট চেপে ম্যাচ শেষে মাশরাফি বলেন, ‘এই ধরনের ম্যাচ পরাজয় অবশ্যই হতাশার। ১৩ বলে ১৪ রান, হাতে আছে ৬ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে থেকে ম্যাচ কেউ কি করে হারে! সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হল এমনভাবে জয়ের কাছে এসেও বাংলাদেশ এই প্রথম এমন কোনও ম্যাচ হারল তাও কিন্তু নয়। এমন ঘটনা প্রায়ই হচ্ছে। এটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় হতাশার বিষয়। বারবার কেন এমন হবে? একই ভুল এতবার কেন হবে। যেভাবে আমরা এই ম্যাচে জয়ের কাছে যাচ্ছিলাম। তাতে ম্যাচটা সহজেই আমাদের জেতা উচিত ছিল। কিন্তু জিততে পারলাম না। শেষে এসে হেরে গেলাম। হেরে যাচ্ছি।’
অধিনায়ক আরো বলেন, ‘সিনিয়ররা যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে তাতে আমি ভেবেছিলাম ম্যাচটা আমরা খুব সহজেই ফিনিশ করতে পারবো। কিন্তু তা আর হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নার্ভটা আরও সহজ রাখা যেত। এক-দুই করে রান নেয়ার প্রবণতা থাকলেই খেলাটা শেষ করে আসা যেত।’
ম্যাচ হারের কারণে মাশরাফি নিজেদের ফিল্ডিংকে দায়ী করে বলেন, ‘বেশ কয়েকটি ক্যাচ ড্রপ হয়েছে। আমরা ২৪টি ডাবল দিয়েছি। যা অপ্রত্যাশিত। ব্যাটিংয়ে সিঙ্গেল না নিতে পারাই ভুগিয়েছে আমাদের।’
পরাজয়ের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে রিয়াদের আউটকেই দেখছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘খেলা শেষ বল পর্যন্তই ছিল। তারপরও রিয়াদ ওই সময় রান আউট না হলে হয়ত খেলা সহজ হয়ে যেত। আরও আগেই শেষ করা যেত।’
ম্যাচ হারলেও একেবারে হতাশ হচ্ছেন না অধিনায়ক। ধ্বংসস্তুপ থেকে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় তা ভালোই জানা তার। তাই সবশেষ শোনালেন আশার বাণী। মাশরাফি জানান, ‘আমাদের হাতে আরেকটা ম্যাচ আছে। আশা করি আমরা ভালোভাবেই ফিরব।’
উল্লেখ, গত কয়েক বছরে এই ধরনের হারের যন্ত্রণায় বেশ কয়েকবারই পুড়তে হয়েছে দলকে। ২০১২ ও ২০১৬ এশিয়া কাপের ফাইনাল, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হার আর এ বছর নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশ হেরেছে কাছে গিয়েও।
সাহস২৪.কম/খান/মশিউর