এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৫৮

সাহস ডেস্ক

কালবৈশাখীর মৌসুমে চৈত্র-বৈশাখ মাসে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় ও দেশের উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়াও ইংরেজি বর্ষের এ মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এপ্রিলে দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত দুই থেকে তিন দিন মাঝারী থেকে তীব্র বজ্রসহ কালবৈশাখী হতে পারে। এছাড়া পাঁচ থেকে ছয় দিন হালকা থেকে মাঝারী কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় হতে পারে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন তীব্র তাপদাহ হতে পারে। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক টি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং অন্যত্র ১-২ টি মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারী (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে ঢাকায় ১৩০ থেকে ১৬৫ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ১৩৫ থেকে ১৭৫ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১৩০ থেকে ১৬৫ মিলিমিটার, সিলেটে ২৬৫ থেকে ৩৪০ মিলিমিটার, রাজশাহী ৭৫ থেকে ৯৫ মিলিমিটার, রংপুর ৮৫ থেকে ১১০ মিলিমিটার, খুলনায় ৬৫ থেকে ৯০ মিলিমিটার, বরিশাল ১২০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এদিকে এ বছর বজ্রঝড় ও কালবৈশাখী ঝড়ও এগিয়ে এসেছে। এ বছর এ পর্যন্ত বজ্রঝড় ও কালবৈশাখীতে প্রায় অর্ধশত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পুবালি বাতাসের সঙ্গে পশ্চিমা লঘুচাপের মিলনে বজ্রপাত ঘটে। মৌসুমী বায়ুর আগমনের মাসগুলোতে এপ্রিল মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ সময় কৃষিকাজ বেশি হওয়ায় এ দেশে প্রাণহানিও বেশি ঘটে। মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে বিকেলবেলা বজ্রপাত হয়। এর পরের সময় সন্ধ্যা ও রাতের বেলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত