বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বাস্তবায়ন চলবে ব্যয় সংকোচন নীতিতে
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২২, ১৯:০৮
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2022/07/26/image-77813.jpg)
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট ব্যয় ও বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা (এপিপি) সরকারের ব্যয় সংকোচন পরিপত্র অনুসরণ করে যথাযথভাবে প্রণয়ন করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রণীত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা এপিএ সফটওয়্যারে আপলোড করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বরাদ্দ দেওয়া বাজেট সঠিকভাবে ব্যবহারের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সরকার কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র/আদেশ/অনুশাসন পালনসহ ‘বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের সদস্য অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বাজেট বাস্তবায়ন বিষয়ে সরকারি নিয়মাচার ও সময়ে সময়ে জারি করা সরকারি পরিপত্র/আদেশ প্রতিপালন করতে হবে। সরকার ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। সরকারি এ সকল নির্দেশনা অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে।
অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় অংশগ্রহণ করেন কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহ আলম, বাজেট শাখার উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ। সভায় জানানো হয়, নতুন/প্রতিস্থাপক হিসেবে সকল প্রকার যানবাহন ক্রয় বন্ধ থাকবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। শুধুমাত্র জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, অন্যান্য মনোহরী, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, আসবাবপত্র খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০% ব্যয় করা যাবে। প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০% ব্যয় করা যাবে দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে। পেট্রোল, ওয়েল এবং লুব্রিকেন্ট ও গ্যাস ও জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ ৮০% ব্যয় করা যাবে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ২৫% সাশ্রয় করতে হবে। কোনো অর্থ ব্যয় করা যাবে না উন্নয়ন বাজেট ও নিজস্ব তহবিলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সব ধরনের প্রকল্প/ কর্মসূচি/ স্কিমসমূহের ক্ষেত্রে সম্মানী খাতে বরাদ্দ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি), প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিএসসি), বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিপিইসি), বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (এসপিইসি) এবং বিভাগীয় বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিএসপিইসি) সভায় সম্মানী বাবদ। যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে সভা/ সেমিনার/ ওয়ার্কশপ/ প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। উল্লিখিত খাতসমূহে বেঁচে যাওয়া বা অব্যয়িত অর্থ অন্য কোনো খাতে স্থানান্তর বা পুনঃউপযোজন করা যাবে না।
সাহস২৪.কম/এসটি/এএম/এসকে.