বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে বাধা, দিল্লিকে ঢাকার চিঠি
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২০, ১৩:২৩
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2020/07/05/image-63382.jpg)
নানা দেন-দরবার শেষে কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকা আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু করতে সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলো খুলে দেয়া হয়। কিন্তু ভারত একতরফাভাবে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি করলেও বাংলাদেশের পণ্য তারা গ্রহণ করছে না। সীমান্তের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ভারত।
বেনাপোল, ভোমরাসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য গ্রহণ করার জন্য কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য নিতে দিল্লিকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ঢাকা।
ঢাকা থেকে দিল্লিতে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরুর পরপরই গত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বেনাপোল, ভোমরা, তামাবিল, হিলিসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত জুনে বেনাপোলসহ কয়েকটি স্থলবন্দরে কার্যক্রম শুরুর পর ভারত থেকে আমদানি পণ্য বাংলাদেশে অবাধে প্রবেশের সুযোগ পেলেও বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থলবন্দরে এ ধরনের একপেশে বাণিজ্যিক আচরণ বৈষম্যমূলক এবং এর ফলে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তারা যে অভিযোগ পেয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, বেনাপোল ও ভোমরা হয়ে বাংলাদেশি পণ্য নিয়ে শত শত ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। কিছু কিছু ট্রাক আটকে আছে তিন মাস ধরে। পচনশীল পণ্যসহ রপ্তানি পণ্যবোঝাই এসব ট্রাক দিনের পর দিন আটকে থাকায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বেনাপোল বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, গত জুন থেকে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য নিয়ে একটি ট্রাকও ভারতে ঢুকতে পারেনি। একপেশে এমন বাণিজ্যের প্রতিবাদে শেষে গত ১ জুলাই থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য আমদানিও বন্ধ করে দিয়েছে বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। ফলে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যবহৃত স্থলবন্দরটি এখন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত ৭ জুন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য চালু হলেও বাংলাদেশি পণ্য গ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করে ভারত। ভারত সরকার ও সে দেশের ব্যবসায়ীরা ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না।