বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৩০

সাহস ডেস্ক

বিদেশ থেকে কেউ দেশে আসলে তাদের করোনা টেস্ট এবং কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে যারা আমাদের দেশে আসবেন তাদের পরীক্ষা করা, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা এটা আমাদের বিমানবন্দর থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা বন্দরে বন্দরে এখন থেকে আবার ব্যবস্থা নিতে হবে। কেউ ঢুকতে গেলেই করোনাভাইরাস ঢুকছে কি-না সেটা পরীক্ষা করতে হবে।

রবিবার (০১ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

করোনাকালীন ২৩ দফা নির্দেশনা মানার সময় হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আবারও বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের একটা প্রাদুর্ভাব ব্যাপকভাবে দেখা দিচ্ছে। ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। যেকোনো কাজে সবাই মাস্ক ব্যবহার করবেন। আমি হয়তো মাস্ক ছাড়া বক্তব্য দিচ্ছি, কারণ আমার আশপাশে কেউ নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছুতে একটা স্থবিরতা এসে গেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক আমাদের শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। সেটা শুধু আমাদের দেশে না, বিশ্বব্যাপী এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারপরও আমরা সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাসগুলো চালাচ্ছি। চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবাই যার যার পড়াশোনা নিজেরাই করতে হবে। বাবা-মাও সেটা যেন দেখে।

করোনা মহামারির মধ্যেও অর্থনীতি গতিশীল রাখতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের এই অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য আমরা যে প্রণোদনা দিয়েছি সেটা দিয়েছি যাতে আমাদের অর্থনীতির গতিটা অব্যাহত থাকে। যাতে আমাদের অর্থনীতিটা স্থবির না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। যার জন্য এখনো আমাদের অর্থনীতির গতি অনেকটা সচল আছে। অনেক উন্নত দেশও কিন্তু এটা করতে পারছে না।

করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই করোনা ভাইরাসের কারণে সব কিছুতে একটা স্থবিরতা এসে গেছে। করোনা ভাইরাস সব কিছুই স্থবির করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিয়ের বাজারেও ছেলে ফ্রিল্যান্সিং করে বললে বলে সেটা আবার কী? আমি এখানে মেয়ে বিয়ে দেব কেন? অনেক ক্ষেত্রে স্কুল- কলেজে ভর্তি নিতে চায় না। বলে, আপনার আয় তো নিয়মিত নয়।

তিনি আরও বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের একটা অসুবিধা আছে সেটা আমি জানি। যেহেতু এখানে কোনো রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে না, সার্টিফিকেট নেই, স্বীকৃতি নেই, অনেক সময় অনেকে জিজ্ঞেস করে আপনি কী করেন? যদি বলে ফ্রিল্যান্সার অনেকেই বুঝতেই পারে না ব্যাপারটা কী। কেউ হয়তো এটার স্বীকৃতি দেয় না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত