মুক্তির লড়াইয়ে 'নানকার বিদ্রোহ' অনুপ্রেরনার উৎস: ন্যাপ
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০১৯, ১৫:০৮
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2019/08/18/image-54775.jpg)
ঐতিহাসিক নানকার বিদ্রোহের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নানকার আন্দোলনের শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, সমাজের শোষণমূলক অন্যায় সব প্রথার বিরুদ্ধে মুক্তির লড়াইয়ে নানকার বিদ্রোহ অনুপ্রেরনার উৎস।
রবিবার (১৮ আগস্ট) ঐতিহাসিক নানকার বিদ্রোহের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ১৮ আগস্ট ঐতিহাসিক নানকার কৃষক বিদ্রোহ দিবস। ১৯৪৯ সালের আজকের এই দিনে বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছিল একটি নির্মম ইতিহাস। ১৯৩৭ সালের ১৮ আগস্ট নানকার প্রথার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে ব্রজনাথ দাস, কটুমনি দাস, প্রসন্ন কুমার দাস, পবিত্র কুমার দাস, অমূল্য কুমার দাস, ও রজনী দাস এই ছয়জন কৃষক রক্ত দিয়ে তাদের পূর্বসূরীদের ঋণ শোধ করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় পরিসমাপ্তি ঘটে নানকার আন্দোলনের। আর তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫০ সালে তৎকালিন সরকার জমিদারী প্রথা বাতিল ও নানকার প্রথা রদ করে কৃষকদের জমির মালিকানার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। নানকার বিদ্রোহ ছিল পাকিস্থান আমলে অধিকার আদায়ের প্রথম সফল সংগ্রাম।
নেতৃদ্বয় বলেন, সামন্তবাদী শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার অঞ্চলের নানকার কৃষকরা সর্বপ্রথম বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পাকিস্তান সরকারের সাথে বাঙ্গালী জাতির প্রথম বিজয় নানকার বিদ্রোহ আন্দোলন। যা রচিত হয়েছিল সুনাই নদের তীরে।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, নানকার প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে কৃষক তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে ১৯৫০ সালে, কিন্তু এখনকি মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের অধিকার ভোগ করতে পারছে? এখনও কি মধ্যযুগের দাস প্রথা আর বৃটিশ আমলের নানকার প্রথার সাথে মিলে যায় না আমাদের বর্তমান সমাজ চিত্র? দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পর জমিদার প্রথা উচ্ছেদ হলেও এ দেশে কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। কৃষকেরা ফসলের লাভজনক মূল্য হতে বঞ্চিত। শাসকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেয়া নয়া উদারনীতিবাদের শিকার হচ্ছে কৃষকেরা।