রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশকে সহায়তা করতে বিশ্ববাসীর প্রতি ভারতের আহ্বান
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০১৯, ১৬:১৭
![](/assets/news_photos/2019/08/03/image-54358.jpg)
কক্সবাজারে বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের উপস্থিতির কারণে সৃষ্ট ‘মানবিক বোঝা’ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত। আসিয়ান কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিক নিরাপত্তা প্রতিবেদন ২০১৯ অনুসারে, ভারত বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেছে এবং রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতিতে যে বিপুল বোঝা সৃষ্টি করেছে তার স্বীকৃতি দিয়েছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে। তাদের বেশির ভাগই মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বর্বর অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর চুক্তি সই করলেও এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে পারেননি।
২০৬ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত তাদের সমর্থন বাড়িয়েছে।
ব্যাংককে আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) ২৬তম সম্মেলনে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় উন্নয়নের অংশীদার। পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তা, জ্বালানি সহযোগিতা, বাণিজ্য, যোগাযোগ ও জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য দীর্ঘস্থায়ী অগ্রগতি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে ভারত।
উল্লেখ্য, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে সরকারি পরামর্শ করার বহুপক্ষীয় ফোরাম এআরএফ। আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে থাইল্যান্ড সরকার এ বছরের এআরএফ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। শুক্রবার ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় এআরএফ সম্মেলনে ২৬টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, চীন ও ভারতের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ ও সুরক্ষার সাথে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে এআরএফ সদস্যদের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ সহযোগিতা চান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সামরিক সম্পর্ক ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, অবকাঠামো, উন্নত পরিবহন সংযোগস্থল নির্মাণ (স্থল, সমুদ্র, অভ্যন্তরীণ নৌ ও বিমানপথ) এবং জনগণের সহজ চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করছে ভারত ও বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আঞ্চলিক সুরক্ষার জন্য মিয়ানমারের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও মিয়ানমার দুদেশের মধ্যে সুরক্ষা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত ব্যবধান উন্নত করার জন্য এ অঞ্চলের উন্নয়ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে মিয়ানমারকে সহযোগিতা করছে।
সূত্র: ইউএনবি