বন্ধ হচ্ছে ক্যাবল নেটওয়ার্কে বিজ্ঞাপন-অনুষ্ঠান প্রচার
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:০১
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2019/04/17/image-50048.jpg)
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্যাবল নেটওয়ার্কে স্থানীয় বিজ্ঞাপন ও অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। সেই সময়সীমার পরে কেউ লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে ক্যাবল অপারেটরদের সংগঠন কোয়াব ঐক্য পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে তিন কোটি টেলিভিশন ব্যবহার হয়। সেই ক্ষেত্রে আপনারা ক্যাবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেলিভিশন চ্যানেল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। আগে শুধু শহরে সীমাবদ্ধ ছিল, এখন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও ক্যাবল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, যে যে কাজের জন্য লাইসেন্স নিয়েছেন তাদের লাইসেন্সের সেই শর্ত মানতে হবে। লাইসেন্সের শর্তগুলো সবাই সঠিকভাবে যদি পালন করে তাহলে এই খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় না। লাইসেন্সের শর্ত সবার মানা প্রয়োজন।’
তথ্যমন্ত্রী জানান, ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য যারা লাইসেন্স নিয়েছেন তারা শুধু ক্যাবল নেটওয়ার্কই পরিচালনা করবেন, সেখানে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। সেখানে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ নেই, সিনেমা দেখানো বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান দেখানোর সুযোগ নেই।
‘কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, বিভিন্নস্থানে ক্যাবল নেটওয়ার্কে স্থানীয় বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, যেটি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী করা যায় না। তারপরে সেখানে অনেক সময় সিনেমা চালানো হয়, গানের অনুষ্ঠান চালানো হয়, যেটি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী করা যায় না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে একটি আহ্বান জানানো হয়েছিল- বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোকে সামনে রাখতে হবে। প্রথমে সরকারি চ্যানেল। বিটিভির চারটি চ্যানেল- বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ড, সংসদ টিভি ও বিটিভি চট্টগ্রাম। এগুলো প্রথমে এরপর বাংলাদেশের অন্য চ্যানেলগুলো প্রতিষ্ঠার সময় ধরে সিরিয়ালে রাখতে হবে, সেটি অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয় না।
‘আমি অনুরোধ জানাবো- আপনাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সবাইকে অতিসত্বর জানিয়ে দেওয়া- লাইসেন্সের বাইরে যেন কেউ কোনো কাজ না করেন। যেমন আপনাদের নেটওয়ার্কে কোনও বিজ্ঞাপন না দেখানো, কোনও নিজস্ব অনুষ্ঠান না দেখানো, একই সঙ্গে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোকে সিরিয়ালি রাখা। এই কাজগুলো করতে পারলে এখানে যে বিশৃঙ্খলা সেটিকে আমরা একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারবো।’
মন্ত্রী বলেন, আপনাদের যেসব সদস্যরা এখনও সঠিকভাবে নিয়ম পালন করছেন না তাদের জানিয়ে দিন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবো। সেই সময়সীমার পরে যদি কেউ লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে কাজগুলো করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী আরও জানান, ডাউনলিংক করে যে দুটি প্রতিষ্ঠান, তাদের নোটিশ দিয়েছিলাম। তারা প্রাথমিক জবাব দিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ জবাব দিতে দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে। সেই সময় দেওয়া হয়ছে, সেটি এখনও শেষ হয়নি। আমি অনুরোধ জানাবো বিদেশি চ্যানেলে কোনও বিজ্ঞাপন যেন প্রদর্শিত না হয়।