নির্বাচনী ফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের সুযোগ নেই: ইসি

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:২৬

সাহস ডেস্ক

সদ্য শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগ নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার কোনো সুযোগ পাচ্ছে না ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিরোধী নির্বাচনী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আইন-কানুন দেখে ফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই বলে বলে  জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ করে ফেলেছি। আমরা আইন পর্যালোচনা করে দেখেছি ফলাফল বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয় কেউ সন্তুষ্ট না হলে আদালতে যেতে হবে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, বিরোধী নির্বাচনী জোটের যারা ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার কথা বলছেন, তারা হয়তো বিষয়টি জানেন না। আরপিও অনুযায়ী, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার কোনো সুযোগ তারা পাবেন না। ২০০১ সালের পর থেকে এটা আর করা যায় না। বিধানটি সময় আরপিও থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে হাইকোর্টে যাওয়ার সুযোগ আছে। এজন্য আরপিওতে আলাদা একটি বেঞ্চ গঠনের জন্য বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এটা নিজ থেকেই নির্বাচনের পরপরই গঠন করেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ভোটের প্রক্রিয়ায় অনিয়ম নিয়ে ট্রাইবুনালে মামলা করার বর্তমানে কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ইসির যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারাও।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ সংশোধন করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধানটি প্রায় ১৭ বছর আগে তুলে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদের ভোটের প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে মামলা করা যায় না। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা যে কোনো সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা দল এখন আর চাইলেও ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না।

ইসির কর্মকর্তারা বলেন, ট্রাইব্যুনালে না যেতে পারলেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারচুপি, অনিয়মের যদি কোনো অভিযোগ কোনো প্রার্থী করেন তাহলে তার হাইকোর্টে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

আরপিওর পঞ্চম অধ্যায়ের ৪৯ থেকে ৭২ দফায় এ নিয়ে বিস্তারিত করণীয় বাতলে দেওয়া আছে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, যে কোনো নির্বাচনী অনিয়ম নিয়ে হাইকোর্টের একটি আলাদা বেঞ্চে পিটিশন দায়ের করা যাবে। হাইকোর্ট ছয় মাসের পিটিশন নিষ্পত্তির ‘চেষ্টা’ করবেন।

পিটিশন দায়েরকারী হাইকোর্ট থেকে সুবিচার পাননি মনে করলে আদেশের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবেন। তবে এর আগে লিভ টু আপিলের অনুমতি পেতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত