রূপা হত্যা ও ধর্ষণ মামলার রায় নিয়ে পাঠকের মন্তব্য

‘ফাঁসিতো হ‌বেই, কিন্তু দ্রুত কার্যকর চাই’

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২১:১৪

আগামীকাল সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় হতে যাচ্ছে। আলোচিত এ গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের দাবি ওঠেছে।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মেয়ে রূপা ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একটি কোম্পানির প্রোমশনাল ডিভিশনে কাজ করছিলেন। তার কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহ জেলা সদরে।

বিগত বছরের ২৫ আগস্ট রাতে ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে গণধর্ষণ করা হয়। পরে তার ঘাড় মটকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে লাশ ফেলে যায় বাসের কর্মীরা।

ফেসবুক গ্রুপ ‘আমাদের সিরাজগঞ্জ’ এর সদস্য মোঃ আসাদ রূপার গণধর্ষণ ও হত্যার রায় নিয়ে করা মন্তব্যে বলেন, ‘ফাঁসিতো হ‌বেই, কিন্তু দ্রুত কার্যকর চাই’।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীগণের আইনী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া ১২ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেন।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে পরিবহণ শ্রমিকরা। বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে রুপার মৃতদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় নারী হিসেবে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে রুপার মৃতদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। 

পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন। গত ১৫ অক্টোবর এ মমলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্র দাখিলের পর দিন ১৬ অক্টোবর মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হয়। গত ২৫ অক্টোবর আদালত এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত