কুড়িগ্রামে তিসি চাষীদের মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:৩০

শফিউল আলম শফি

কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলার চরাঞ্চলে চলতি রবিমৌসুমে ব্যাপকহারে তিসি চাষ করা হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবার  বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

 

তিসি একটি তেল ও আঁশ উৎপাদনকারী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। তিসি বীজের উপকারীতা অনেক, যেমন হজম বাড়ায়, ত্বক সুন্দর করে, কোলোস্টরোল কমায়, এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ে। তিসিবীজ পুষ্টি সম্পন্ন খাবার।

তিসি উৎপাদনে খরচ কম হওয়ায় চাষিরা খুবই আগ্রহী হয়। চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক কোনো বিরূপ পরিস্থিতির মুখে পরতে হয়নি, ফলে ব্রম্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তা নদের অববাহিকায় ও বিস্তৃর্ণ চর সমূহে তিসির ব্যাপক চাষা করা হয়েছে। কিছুদিন পর কৃষকরা মাঠ থেকে ফসল কাটা ও মারাই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। উলিপুরের মুসার চর, মশালের চর, মতুয়াতলী, বানাডোবা, আক্কেল মামুদ ও কর্পুরাচর বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে ক্ষেতের পর ক্ষেত তিসির বাম্পার ফলন হয়েছে। কম খরচে ভালো দাম পাওয়ার আশায় কৃষকের মুখে হাসি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আউশ ধান কেটে কৃষকরা শীতকালীন এ ফসল চাষ করেন।

নুনখাওয়ার চরকাপনা গ্রামের কৃষক জরিপ উদ্দিন ও শমসের আলী জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ মণ তিসির ফলন হয়।

জানা যায়, এখন প্রতিমন তিসি ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকাদরে কেনা বেচা হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, তিসি চাষে সাধারণত জৈব সার বেশী ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া তিসি শীতকালীন ফসল হওয়ায়, রোগ বালাই ও কীট-পতঙ্গের আক্রমণ তেমন একটা হয় না। ফলে কম খরচে আশাব্যঞ্জক উৎপাদন করা যায়।

নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, নাগেশ্বরী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে তিসির চাষ বেশী  হয়ে থাকে। এ বছর তিসির আবাদ ভাল হয়েছে। রোগ-বালাই না থাকায় ও অনুকূল আবহাওয়া থাকায় চলতি রবিমৌসুমে তিসি চাষীরা প্রত্যাশিত ফলন পাবেন বলে আশা করা যায়। ফলে কৃষকদের মুখে এখন খুশির ঝিলিক পরিলক্ষিত হচ্ছে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত