বহিরাগত শক্তির বিরুদ্ধেও কড়া সতর্কবার্তা বললেন চীনের সামরিক মুখপাত্র

তাইওয়ানের চারপাশে চীনের সামরিক মহড়া ‘উদ্বেগজনক’: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৪, ১৫:০৬

Desk Report

তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই মহড়া শুরু হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া এই তথ্য জানিয়েছে।

সিনহুয়া বলছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে তাইওয়ান প্রণালি, তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বে মহড়া শুরু করেছে চীনের সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড। পাশাপাশি তাইওয়ানের কিনমেন, মাতসু, উকিয়ু এবং ডঙিন দ্বীপপুঞ্জের চারপাশেও মহড়া চালায় চীন।

গত সোমবার তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে শপথ নেন। এর তিন দিন পর নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল চীন। শপথ গ্রহণের পর বেইজিংকে ‘ভীতি প্রদর্শন’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন লাই চিং-তে। তবে চীন বরাবরই তাইওয়ানেকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে।

চীনের সামরিক মুখপাত্র লি সি বলেছেন, তাইওয়ানের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকান্ডের’ ‘কঠোর শাস্তি’ হিসেবে চীন দ্বীপ দেশটির চারপাশে বৃহস্পতিবার থেকে দুই দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহে নতুন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং-তে বেইজিংকে ‘ভীতি প্রদর্শন’বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এরই মধ্যে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন।

'তাইওয়ানের স্বাধীনতার' নামে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না বলে তিনি হুশিয়ারি দেন।

এদিকে, চীনের সামরিক মহড়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই তাইওয়ান খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, তারা ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব’ রক্ষায় সমুদ্র, আকাশ ও স্থলপথে বাহিনী মেতায়েন করেছে।

তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় এই ধরনের ‘অযৌক্তিক উস্কানিমূলক’ কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এসব কার্যকলাপ কেবলমাত্র আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকেই অস্থিতিশীল করে তুলবে।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টি দাবি করছে তাইওয়ান তাদেরই অঞ্চল এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও দ্বীপ দেশটিকে তাদের শাসনে নিয়ে আসবে।

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ঘোষণা দিয়েছে, তাইওয়ানের যুদ্ধ মোকাবেলায় সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সামরিক বিমান এবং নৌ বাহিনীর জাহাজ তাইওয়ানের চারপাশে মহড়া দিচ্ছে।

এদিকে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের উপ-কমান্ডার সেক্লঙ্কা ক্যানবেরায় সাংবাদিক ও উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সত্য বলতে, এরকম কিছু হবে তা আমরা প্রত্যাশা করছিলাম।’

যুক্তরাষ্ট্র ‘এক চীনা’ নীতিতে বিশ্বাসী এবং তাইওয়ানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করলেও দুই দেশের কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত