ইয়াবার বিকল্প ‘ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট’

ভয়ংকর এক নতুন মাদকে ঝুঁকছে মাদকসেবীরা

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৪, ১৩:২৪

Desk Report

ইয়াবার বিকল্প হিসাবে ভয়ংকর এক নতুন ট্যাবলেটে ঝুঁকছে মাদকসেবীরা। এটি হলো ‘ট্যাপেন্টাডল হাইড্রোক্লোরাইড’। ইয়াবার চেয়ে কম দামে গ্রামগঞ্জে হাতের নাগালে পাওয়ায় এখন আসক্তদের পছন্দের মাদকে পরিণত হয়েছে এই ট্যাবলেট। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ইয়াবার চেয়ে বহুগুণ ক্ষতিকর। এটি সেবনে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।

ব্যথা নিরাময়ের জেনেরিক ওষুধ ট্যাপেন্টাডলের চাহিদা বেশি দিন আগের নয়। দু বছর আগে এটি বৈধ ওষুধ ছিল। দেশের আটটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এটি বাজারজাত করত। নেশা হিসেবে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ সালে ট্যাপেন্টাডল নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর থেকে দেশীয়ভাবে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

নিষিদ্ধ হলেও ওষুধটির ব্যবসা বন্ধ হয়নি। জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ফার্মাসিতে এখনও এটি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গোপনে হাতে হাতে এর বিক্রি তো রয়েছেই। স্বল্প দামের ওষুধ হওয়ায় শহর থেকে গ্রাম-গঞ্জে সবার অগোচরে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, দেশজুড়ে যখন ইয়াবার বিরুদ্ধে মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তখন মাদকসেবীদের কাছে এর বিকল্প হিসাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ট্যাপেন্টাডল। বিভিন্ন সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসছে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটের চালান।

মাদক চোরাকারবারিরা এসব ট্যাবলেট এনে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন ফার্মেসিতে এসব ট্যাবলেট বিক্রি করছে। কতিপয় ফার্মেসি মালিক অধিক মুনাফার লোভে এসব ট্যাবলেট তুলে দিচ্ছেন মাদকসেবীদের হাতে। লাল-হলুদসহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এই ট্যাবলেট। দেখতে হুবহু ইয়াবার মতোই। অনেক সময় মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা ট্যাবলেটের সঙ্গে মিশিয়ে এটি বিক্রি করে থাকেন অধিক দামে। 

মাদক ও ধূমপানবিরোধী সংগঠন মানসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, এই ট্যাবলেট সেবনে শারীরিক নানা উপসর্গ দেখা দেয়। শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে সেবনকারী হঠাৎ মারা যায়। এছাড়া জৈবিক শক্তি হ্রাস পায়। কিডনি ড্যামেজসহ নানারকম জটিল উপসর্গ দেখা দেয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত