মেয়র পদ হারাতে পারেন জাহাঙ্গীর
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২১, ১২:৩২
![](https://www.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2021/11/20/image-74230.jpg)
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ হারাতে পারেন মহানগর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তির দায়ে গাজীপুর মহানগর আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি তাকে মেয়র পদ থেকে সরানোর দাবিও উঠেছে।
বৈঠকের প্রায় ৩৫ জন নেতাই জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, ‘ভবিষ্যতে এমন ধৃষ্টতা যাতে কেউ দেখাতে না পারে—জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।’ এ সময় তাকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে কীভাবে তাকে অব্যাহতি দেওয়া যায় সে ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন নেতাদের।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জাহাঙ্গীরকে কী ভাষায় শোকজ দেওয়া হয়েছে এবং উত্তর কী এসেছে আমরা জানতে চাই। পরে ওবায়দুল কাদের তা পড়ে শোনান। এরপর নাছিম বলেন, ‘জাহাঙ্গীর অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। এই কুলাঙ্গারের আওয়ামী লীগ করার অধিকার নেই।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘জাহাঙ্গীর তার অপরাধের কথা স্বীকার করেনি। তার বক্তব্য জাতির অস্তিত্বে আঘাত হেনেছে। এটা রাষ্ট্রদ্রোহ। তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।’
অপর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আমাদের অস্তিত্বে আঘাত হেনেছে। এখানে বিএনপি-জামাতও আঘাত করার সাহস দেখায়নি। তার আওয়ামী লীগে থাকার অধিকার নেই।’
আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা ও মেয়র পদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সভায় যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা অফিসিয়ালি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, দলীয় প্রতীকে কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর কোনো কারণে ওই সংসদ সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলে ব্যক্তি নির্বাচিত হওয়ার পরও সংসদ সদস্য পদ হারাবেন। কিন্তু কোনো মেয়রকে দলীয় সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হলে মেয়র পদে থাকতে পারবেন কি না, সেটি স্থানীয় সরকার আইনে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা নেই।
২০১৫ সালে সিটি করপোরেশন আইন সংশোধন করা হয় এবং দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচনের বিষয়টি তাতে সংযুক্ত হয়। আইনের ৩২ ধারায় নতুন ৩২ক ধারা সন্নিবেশিত করা হয়। সেখানে বলা আছে, ‘কোনো সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কোনো ব্যক্তিকে কোনো রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হইবে।’
নতুন আইনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংজ্ঞার বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী এইরূপ কোনো প্রার্থী, যিনি রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনয়নপ্রাপ্ত নহেন।’
সাহস২৪.কম/এমআর