চোরাই পথে ভারতীয় গরু আসার শঙ্কা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১৫শ কোটি টাকার পশু কেনাবেচার আশা করছেন খামারিরা

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ১৮:৩৯

Desk Report

এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১৫শ কোটি টাকার পশু কেনাবেচার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আপাতত খামারগুলোতে চাহিদার সমপরিমাণ কুরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত থাকলেও শেষ মুহূর্তে চাহিদা আরও বেড়ে সংকট তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি এবার পশুপালনে খরচ বাড়ায় হাটে পশুর দাম কিছুটা বাড়বে বলে জানিয়েছেন খামারিরা।

আপাতত খামার গুলোতে চাহিদার সমপরিমাণ কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত থাকলেও শেষ মুহূর্তে চাহিদা আরও বেড়ে সংকট তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি এবার পশু পালনে খরচ বাড়ায় হাটে পশুর দাম কিছুটা বাড়বে বলে মনে করছেন খামারিরা।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪ হাজারেরও বেশি খামারি কোরবানির পশু মোটাতাজা করেছেন। 

মূলত যার গোয়ালে অন্তত ৫টি গরু-মহিষ আছে, তাকেই খামারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঈদকে সামনে রেখে হাটে ভালো দাম পাওয়ার আশায় এখন পশুর বাড়তি যতœ নেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত খাবার। সবকটি খামারেই কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।

জেলার বাণিজ্যিক খামার ও সাধারণ কৃষকদের কাছে ১ লাখ ২৭ হাজার কোরবানি যোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ৯৩ হাজার ১৭৪টি গরু, ১২ হাজার ২৩৪টি মহিষ, প্রায় ১৫ হাজার ছাগল এবং সাড়ে ৬ হাজার ভেড়া রয়েছে। যা আপাতত কোরবানির চাহিদার সমপরিমাণ। খামারগুলোতে দেশীয় ষাড়, শাহী ওয়াল ও ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। এর মধ্যে দেশী ষাঁড়ের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এবারও চোরাই পথে ভারতীয় গরু আসার শঙ্কায় রয়েছেন তারা। এটি ঠেকানো না গেলে, বড় অংকের লোকসান গুণে পথে বসতে হবে বলে জানিয়েছেন এসব স্থানীয় খামারি। যদিও প্রাণি সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে গরু আসা বন্ধে কঠোর নজরদারি থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত