তারাবুনিয়া ও গিলাতলা গ্রামের লিচুর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে

পিরোজপুরের নাজিরপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে লিচু চাষ

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৪, ১৭:৪৪

Desk Report

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় লিচু চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গত দুই দশকে বসতবাড়ি থেকে ক্ষেতের জমি, বেশির ভাগ কৃষক নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন লিচুর ওপর। এদিকে মাটি উর্বর হওয়ায় ফলনও খুব ভালো। বিশেষ করে উপজেলার তারাবুনিয়া ও গিলাতলা গ্রামের লিচুর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে।

নাজিরপুর উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের দুই সহোদর হংসপতি মিস্ত্রি ও হিমাংশু মিস্ত্রি ২০০৭ সালে তাদের পাঁচ একর জমিতে চায়না থ্রি ও মোজাফফরপুরী জাতের লিচুর বাগান করেন। প্রথম বছরই সাফল্য পান তারা।

এখন শুধু তারাবুনিয়া নয়, উপজেলার অনেক গ্রামে এখন পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে লিচুর ওপর। নাজিরপুরে প্রায় অর্ধশত কৃষক আবাদ করেছেন চায়না থ্রি ও মোজাফফর পুরী জাতের লিচু।

স্থানীয় লিচু চাষিরা জানায়, রাসয়নিক মুক্ত এবং জৈব পদ্ধতিতে লিচু চাষ করায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ও জেলার ব্যবসায়ীরা আসেন লিচু কিনতে। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে লিচু তেমন বড় হয়নি। বৃষ্টি না থাকার কারণে ফল ঝড়ে যাচ্ছে এবং ফুল কম ফুটছে। ফলের আকার ছোট হয়েছে। এখান থেকে কিনে ভালো দামে বিভিন্ন এলাকায় লিচু বিক্রি করছেন পাইকাররা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লিচুর ভারে নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ গাছ। চারদিকে লিচুর মিষ্টি মধুর ঘ্রাণ। গাছের ডালে ডালে ভিড় করেছে মৌমাছি। গাছ থেকে নামানো হচ্ছে লিচু। সেগুলো বাছাই শেষে গুনে গুনে করা হয় আঁটি। লিচু আহরণ, বাছাই এবং প্যাকেট করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এসব লিচু দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে।

পিরোজপুর জেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি সময়ে চাষিদের মাঝে লিচু চাষের প্রবণতা দেখা গেছে। এই মাটিতে কিভাবে লিচু চাষ সম্প্রসারণ করা যায় সেই বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। চিন্তাভাবনা রয়েছে এটি বৃদ্ধি করার। জেলার তিন উপজেলায় ৫৫ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বদা লিচু চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত