মিয়ানমারে আগামী বছর নির্বাচন

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:২৯

অনলাইন ডেস্ক

দেশের সংকট নিয়ন্ত্রণে আছে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছর নির্বাচন হবে। ভোট যেন বিদেশি হস্তক্ষেপমুক্ত হয় তা নিশ্চিতে ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী সাধ্য অনুযায়ী সব কিছুই করবে। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং।

রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরআইএ-কে তিনি বলেন, আগামী বছরের অগাস্টে নির্বাচন হওয়ার কথা, তার আগে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জান্তার হাতে প্রচুর সময় আছে। এত তাড়াতাড়ি আলোচনার কিছু নেই।  তিনি আরো বলেন, নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে বাইরের চাপ ছাড়া, নাহলে তা অবাধ ও স্বচ্ছ হবে না। বাইরের চাপ ছাড়াই আমরা নিজেদের নির্বাচন করবো।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নোবেল জয়ী অং সান সু চির সরকারের বিরুদ্ধে মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের পর থেকেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ওই অভ্যুত্থানের পরপরই সামরিক বাহিনী সু চিসহ তার দলের অধিকাংশ নেতাকে গ্রেপ্তার করে; হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মী ও বিক্ষোভকারী আটক হয়।

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গণগ্রেপ্তার, হত্যাকাণ্ড ও পদ্ধতিগত বর্বরতা চালানোর অভিযোগ দেশটিতে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের পালে হাওয়া দিচ্ছে; ওই সশস্ত্র প্রতিরোধ মোকাবেলায় সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির সামরিক বাহিনীকে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে।

জাতিসংঘও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে। এসব অভিযোগকে বাইরের হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে জান্তা।

স্বাধীন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল স্পেশাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমারের সোমবার প্রকাশিত এক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, হ্লাইংয়ের বাহিনীর হাতে দেশটির কেবল ১৭ শতাংশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। বাকি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হয় প্রতিযোগিতা চলছে, নয়তো তা জান্তাবিরোধীদের দখলে।

একটি অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া যাওয়া হ্লাইং বলেছেন, অন্য মুদ্রা ব্যবহারে জটিলতা থাকায় রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা ও তার মূল্য রুবলে পরিশোধ করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে মিয়ানমার। মিয়ানমারের এই জান্তা বেশিরভাগ আঞ্চলিক সম্মেলনেই উপস্থিত হতে পারছে না, তার এই বিচ্ছিন্নতা তাকে কূটনৈতিকভাবে এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও আরও বেশি রাশিয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।